নবান্ন। —ফাইল চিত্র।
গত জুনে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এলাকা বাড়ানোর নির্দেশ দেন। তার পরে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রর নির্দেশে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ভরতলাল মিনা যে ফাইলটি তৈরি করেন, তাতে সমতলের বিভিন্ন থানার সঙ্গে সেবক এবং সুকনাকেও কমিশনারেটে সামিল করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে নবান্নকে সিদ্ধান্ত বদলের আর্জি জানায় জিটিএ। এই নিয়ে তাদের তরফে যুক্তিও দেওয়া হয়। রাজ্য পুলিশ ও প্রশাসনে আলোচনার পরে আপাতত এই দুই ফাঁড়িকে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে পুলিশ দফতর জিটিএ-র হাতে নেই, সেই ব্যাপারে তারা আপত্তি জানায় কী ভাবে? জিটিএ-র তরফে বলা হয়, তারা সরাসরি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেনি। কিন্তু জেলা পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরে তাদের মনে হয়েছে, সুকনা ও সেবক, এই দুই ফাঁড়িকে কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত করলে কাজের দিক থেকে সমস্যা হতে পারে। কারণ, দু’টি ফাঁড়ি দু’টি পাহাড়ের প্রবেশদরজা। দুই পাহাড়ি জেলায় পরবর্তী থানা যথাক্রমে কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়ে। যা ফাঁড়ি দু’টি থেকে অনেকটা দূরে। অথচ ৫৫ নম্বর এবং ৩১-এ জাতীয় সড়কে যানজট থেকে ভিআইপি গতিবিধি, আইনশৃঙ্খলা— সবটাই ফাঁড়ি দু’টির উপর নির্ভরশীল। এই অবস্থায় শিলিগুড়ি কমিশনারেটের সঙ্গে ফাঁড়ি দু’টি জুড়ে দিলে প্রশাসনিক কাজে সমস্যা হতে পারে। পাহাড়ের দুই জেলাতেই নতুন থানা তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু জিটিএ-র যুক্তি, সেটা সময় সাপেক্ষ। তাই আপাতত দু’টি ফাঁড়িই দার্জিলিং পুলিশের হাতে থাক।
রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর এবং পুলিশের শীর্ষস্তরে আলোচনার পর আপাতত এই দুই ফাঁড়িকে কমিশনারেটের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে না। বিনয় তামাং বা অনীক থাপারা এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে জিটিএ-র এক সদস্য বলেন, ‘‘আমরা শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এলাকা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নই। তবে আমরা চাই, জিটিএ এলাকায় দার্জিলিং পুলিশের কাজকর্মে যেন সমস্যা না হয়। সেটাই শুধু দেখতে বলা হয়েছে।’’ আর শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘সমস্ত কিছুই এখন সরকারের বিবেচনাধীন। কী বাদ যাবে বা জুড়বে, তার সব রিপোর্ট কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’’