—ফাইল চিত্র।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) দাগি অযোগ্যদের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিল, এসএসসি-কে আবার তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে গত সেপ্টেম্বর মাসে এসএসসি-র নবম-দশম এবং দ্বাদশ-একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছে। বুধবার এসএসসি আদালতে জানায়, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ফল প্রকাশ করার চেষ্টা করছে। আদালত তার অনুমতি দিয়েছে।
পাশাপাশিই এসএসসি প্রকাশিত দাগি অযোগ্যদের তালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জরিয়ার বেঞ্চের বক্তব্য, দাগি অযোগ্যদের তালিকা অস্পষ্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘‘বিস্তারিত ভাবে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেখানে বিষয়ভিত্তিক, সংরক্ষণভিত্তিক তথ্য থাকতে হবে।’’
এসএসসির আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দাগি অযোগ্যদের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সেখানে সকলের নাম রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে বিচারপতি সঞ্জয় বলেন, ‘‘কোনও গোপনীয়তা রাখবেন না। বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করে আবার দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করুন। বিষয়টি নিয়ে না হলে আবার জটিলতা তৈরি হবে। আবার কেউ অন্য কিছু নিয়ে আদালতে আসবেন।’’
এসএসসি আদালতে জানিয়েছে, তারা আবার তালিকা প্রকাশ করবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ নভেম্বর।
গত অগস্টের শেষে দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসসএসি। তাতে অন্তত ১৮০৬ জন দাগি অযোগ্যের নাম ছিল। তাঁদের মধ্যে যাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডও পরে বাতিল করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল, এক জন দাগিও যাতে নতুন নিয়োগে অংশ নিতে না পারেন। তা মেনেই এই পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। তার পরেই এসএসসি পরীক্ষা হয়।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছিলেন, পুজোর পরে ফল প্রকাশ করবে এসএসসি। নভেম্বর মাসে প্রকাশ করা হবে ইন্টারভিউ প্যানেল। ইতিমধ্যে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির মডেল উত্তরপত্র আপলোড এবং তার চ্যালেঞ্জ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে সঠিক উত্তর আপলোড করা হবে। প্রায় ৫০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী উত্তর চ্যালেঞ্জ করেছেন বলে এসএসসি সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫,৬৫,০০০ জন। নবম-দশমের ক্ষেত্রে ৩১,০০০ এর কিছু বেশি ভিন্রাজ্যের বাসিন্দা। একাদশ-দ্বাদশে ভিন্রাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪,৫১৭। নবম-দশমের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৬১ জন। পরীক্ষায় বসেছেন ২ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯২ জন। শতাংশের নিরিখে ৯১.৬২।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে আবেদন করেছিলেন দু’লক্ষ ৪৬ হাজার ৫৪৩ জন। শতাংশের নিরিখে পরীক্ষায় বসেছেন ৯৩%। সংখ্যায় ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৪৯৭।