তথ্য কমিশনের কী হাল, রিপোর্ট চায় সুপ্রিম কোর্ট

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা রাখতে তথ্য জানার অধিকার আইন চালু করা হয়েছিল। দেশের আটটি রাজ্যে তথ্য কমিশনে তথ্য কমিশনারের বহু পদ খালি থাকায় সেই উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে। এটাই সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ। ওই আট রাজ্যের তথ্য কমিশনের অবস্থা কী, সেই বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement

সোমনাথ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:১৯
Share:

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা রাখতে তথ্য জানার অধিকার আইন চালু করা হয়েছিল। দেশের আটটি রাজ্যে তথ্য কমিশনে তথ্য কমিশনারের বহু পদ খালি থাকায় সেই উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে। এটাই সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ। ওই আট রাজ্যের তথ্য কমিশনের অবস্থা কী, সেই বিষয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল ও কর্ণাটক।

Advertisement

‘রাইট টু ইনফর্মেশন’ (আরটিআই) বা তথ্য জানার অধিকার নিয়ে কর্মরত অঞ্জলি ভরদ্বাজ সম্প্রতি শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। সেই মামলার আবেদনে তিনি জানান, অনেক রাজ্যেরই তথ্য কমিশনে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় কমিশনার নেই। বহু আবেদন জমা পড়ে রয়েছে। খালি পদে কমিশনার নিয়োগের আবেদন জানান অঞ্জলিদেবী। সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক নির্দেশ থেকে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে চারটি তথ্য কমিশনারের পদ খালি আছে। আর চলতি বছরের ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২৩ হাজার ৫০০ আবেদনপত্র জমা পড়ে রয়েছে। কোনও শুনানি হয়নি।

কমিশন সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে তথ্য কমিশনারের ন’টি পদ খালি। সম্প্রতি একটি পদে কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে। ১০ বছর আগের আবেদনের শুনানি শুরু হচ্ছে ২০১৮ সালে! অন্ধ্রপ্রদেশের তথ্য কমিশনে নভেম্বর পর্যন্ত মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয়নি। গত অক্টোবরে তিন জন তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে। ওড়িশায় তথ্য কমিশনারের আটটি পদ খালি। মুখ্য তথ্য কমিশনার এবং তিন জন কমিশনার কাজ চালাচ্ছেন। একই অবস্থা তেলঙ্গানায়। সেখানে তথ্য কমিশনারের ন’টি পদ খালি। মহারাষ্ট্রেও মুখ্য তথ্য কমিশনারের পদ শূন্য ছিল দীর্ঘদিন। তথ্য কমিশনারের তিনটি পদও খালি ছিল। সম্প্রতি মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনারের তিনটি পদ এখনও খালি পড়ে রয়েছে। গুজরাতে মুখ্য তথ্য কমিশনার নিয়োগ করা হয় চলতি বছরের মে মাসে। কেরলে তথ্য কমিশনারের ১০টি পদ খালি ছিল। সেখানে পাঁচ জন কমিশনারকে নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কর্ণাটকেও ছ’টি পদ খালি রয়েছে। পাঁচ জন তথ্য কমিশনারকে নিয়ে কাজ চলছে।

Advertisement

রাজ্যে আরটিআই নিয়ে কর্মরত অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘‘তথ্য জানার অধিকার থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছে। এ বার রাজ্যগুলির বাস্তব পরিস্থিতি ধরা পড়বে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন