নারদ নিয়ে রাজ্যের আর্জি আজ শুনবে সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্য সরকার নিজে, সঙ্গে তৃণমূলের এক গুচ্ছ নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ। সবাই সুপ্রিম কোর্টে। লক্ষ্য একটাই। নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত রোখা। মঙ্গলবার দুপুর দু’টোয় এই সব আর্জির শুনানি হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০৪:৪৮
Share:

রাজ্য সরকার নিজে, সঙ্গে তৃণমূলের এক গুচ্ছ নেতা-মন্ত্রী-সাংসদ। সবাই সুপ্রিম কোর্টে। লক্ষ্য একটাই। নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত রোখা। মঙ্গলবার দুপুর দু’টোয় এই সব আর্জির শুনানি হবে।

Advertisement

হাইকোর্ট নারদ-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার আবেদন করে বলেছে, রাজ্য পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবেই নারদের তদন্ত করছে। তার মধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া অনুচিত। হাইকোর্ট শুরু থেকেই নেতা-মন্ত্রীদের দোষী ঠাউরে নিয়েছে বলেও রাজ্যের অভিযোগ। শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়ের মতো নেতারা তাঁদের আবেদনে যুক্তি দিয়েছেন, নারদ ভিডিওতে তাঁদের কোনও ‘প্রতিশ্রুতি’ দিতে দেখা যায়নি। তাঁরা টাকা দাবিও করেননি। কাজেই দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী কোনও অপরাধ তাঁদের হয়নি। তাঁদের এ-ও যুক্তি, হাইকোর্ট সিবিআইকে ‘স্বাধীন’ বলে গণ্য করলেও সুপ্রিম কোর্টই আগে সিবিআইকে ‘খাঁচার তোতা’ আখ্যা দিয়েছিল।

প্রথমে মনে করা হয়েছিল, সোমবার আদালত বসতেই রাজ্য সরকার এবং তৃণমূল নেতারা হয়তো আশু শুনানির আবেদন জানাবেন। সাতসকালেই তাই অমিতাভ চক্রবর্তীর আইনজীবী শুভাশিস ভৌমিক ‘ক্যাভিয়েট’ জমা করেন। দাবি জানানো হয়, অভিযুক্তদের আর্জি শোনা হলে যেন তাঁদের বক্তব্যও শোনা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে নারদ নিয়ে অন্য দুই মামলাকারী, ব্রজেশ ঝা এবং অক্ষয় সারেঙ্গিও ‘ক্যাভিয়েট’ জমা করেন। কলকাতা থেকে চলে আসেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের এজলাসে তাঁরা অপেক্ষায় ছিলেন, কখন রাজ্য সরকার ও তৃণমূলের আইনজীবীরা আসবেন! কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নানও পৌঁছে যান।

Advertisement

আরও পড়ুন: আরও মামলার রসদ রয়েছে নারদের ফুটেজে

কিন্তু সারাদিনে রাজ্যের কোনও আইনজীবী দ্রুত শুনানির আর্জি জানাননি। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার ও শুভেন্দুর তরফে যে পিটিশন জমা পড়েছিল, তাতে বেশ কিছু ত্রুটি ছিল। তা সংশোধন করতে দেরি হয়ে যায়। আবার আইনজীবীদের একাংশ দাবি করছেন, রাজ্যের আইনজীবীরা শীর্ষ আদালতে তাঁদের রণকৌশল নিয়েই দোনামনায় ছিলেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পিটিশন জমা দিয়ে প্রধান বিচারপতির সামনে বিষয়টি উল্লেখ করতে গেলে তখনই তা খারিজ হয়ে যেতে পারে। তার বদলে সব রকম যুক্তি সাজিয়ে আবেদন জমা করাই ভাল। সেক্ষেত্রে অন্য কোনও এজলাসেও শুনানির সম্ভাবনা থাকে।

যদিও আপাতত শুভেন্দু-সৌগতর আবেদন মঙ্গলবার দুপুর দু’টোয় প্রধান বিচারপতির এজলাসেই উল্লেখের জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার ও তৃণমূল নেতাদের তরফে বাঘা বাঘা আইনজীবীরা হাজির হবেন। যাঁদের মধ্যে ইউপিএ আমলের কয়েক জন মন্ত্রী, প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল, অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলরাও থাকতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন