বিজেপির বৃদ্ধি মমতার মদতে, অভিযোগ সূর্যের

সূর্যবাবুর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যেখানেই বিজেপি বাড়ছে, তার জন্য দায়ী সিপিএমই। বামেদের কালা শাসন মানুষ ভোলেনি।’’ একই সুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির বেড়ে ওঠার কারণ তো সিপিএমই। সিপিএমের অপশাসনেই তৃণমূল জন্মেছে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৫:৪৩
Share:

সূর্যকান্ত মিশ্র।— ফাইল ছবি।

পুরভোটের ফলাফলে সিপিএমের অবস্থান এখন তৃতীয়। শক্তিও ক্ষীণ। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপির উঠে আসার প্রবণতা স্পষ্ট। এই অবস্থায় সিপিএমের অভিযোগ, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে বিজেপিকে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

Advertisement

দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বুধবার দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বিরোধী ঠিক করে দিচ্ছেন। ফলে রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, রাজ্যে বিরোধী কংগ্রেস এবং বামেদের হাতে থাকা পুরসভা বা পঞ্চায়েত ‘গায়ের জোরে’ দখল করে নিচ্ছে তৃণমূল। পাশাপাশি চলছে সংখ্যালঘু তোষণ। তারই ফলে পাল্টা শক্তি হিসেবে বৃদ্ধি হচ্ছে বিজেপির। কিন্তু সিপিএমের এই দাবি কতদূর বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বড় উদাহরণ হিসেবে সামনে রাখা হচ্ছে ধূপগুড়ির সাম্প্রতিক পুরনির্বাচন। সেখানে ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বামেরা প্রচার করেছিল, ‘‘আমাদের ভোট না দিলে ভোট বিজেপিকে দিন।’’ পরে অবশ্য ভোটে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে সেখানে গিয়ে বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসুকে বলতে হয়েছিল, বিজেপির সঙ্গে বামেদের কোনও সমঝোতা হয়নি। যদিও এ দিন সূর্যবাবু ধূপগুড়ি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘বিজেপি সেখানে যে ৪২% ভোট পেয়েছে, তার মধ্যে বামেদের ভোট গিয়েছে। তৃণমূলেরও ভোট গিয়েছে।’’

সূর্যবাবুর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল এবং বিজেপি। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যেখানেই বিজেপি বাড়ছে, তার জন্য দায়ী সিপিএমই। বামেদের কালা শাসন মানুষ ভোলেনি।’’ একই সুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, ‘‘রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপির বেড়ে ওঠার কারণ তো সিপিএমই। সিপিএমের অপশাসনেই তৃণমূল জন্মেছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন