jangal mahal

চ্যাম্পিয়ন-রানার্স বাদ, জঙ্গলমহলে ফুটবল রাজনীতি

কেশিয়াড়ি, গোয়ালতোড় ও মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেশ কয়েকটি ক্লাবও এ বার জঙ্গলমহল কাপে সুযোগ পায়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৫:৩২
Share:

ফাইল চিত্র।

জঙ্গলমহল কাপ শুরু হয়েছে। অথচ ফুটবলে গতবারের স্থানীয় চ্যাম্পিয়ন, রানার্স দলই বাদ পড়েছে শালবনিতে!

Advertisement

শুধু শালবনি নয়। কেশিয়াড়ি, গোয়ালতোড় ও মেদিনীপুর সদর ব্লকের বেশ কয়েকটি ক্লাবও এ বার জঙ্গলমহল কাপে সুযোগ পায়নি। বিজেপির অভিযোগ, এর নেপথ্যে রয়েছে রাজনীতি। কারণ, ওই চারটি ব্লক এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে একাধিক আসনে জিতেছেন পদ্ম-প্রার্থীরা। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশেরও মত, যে সব ক্লাবে গেরুয়া শিবিরের প্রভাব ঢুকছে বলে তৃণমূল মনে করছে, বেছে বেছে তাদেরই বাদ দেওয়া হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে এরা সরকারি অনুদান না পায়।

বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাশের খোঁচা, “এটা জঙ্গলমহল কাপ নয়, তৃণমূল কাপ! পুলিশকে দিয়ে এই খেলা তৃণমূলই তো করায়।” রাজনীতির অভিযোগ অবশ্য মানতে নারাজ শাসক দল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির যুক্তি, “কিছু সমালোচক সমালোচনা করবে। তাতে কিছু এসে যায় না! নতুন কিছু দল সুযোগ পাচ্ছে। এটা তো ভালই।” আর পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “সবে জঙ্গলমহল কাপ শুরু হয়েছে। বিষয়টি দেখছি।”

Advertisement

কেন সুযোগ মিলল না— পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত ভাবে জানতে চেয়েছে শালবনির ভীমচক যুবক সঙ্ঘ। থানা স্তরে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় গত বার রানার্স হয়েছিল তারা। আর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল নোনাশোল বঙ্গবন্ধু ক্লাব। এ বার বাদ প়ড়েছে দু’টি দলই। ভীমচক যুবক সঙ্ঘের সম্পাদক দীপক মাহাতো বলেন, “বাদ দিক, দুঃখ নেই। শুধু কী কারণে বাদ দেওয়া হল সেটাই জানতে চাই।”

আরও পড়ুন: সোনার ছেলে সৌরভ এখনও চাষে যায় বাবার সঙ্গে

নোনাশোল বঙ্গবন্ধু ক্লাবটি রয়েছে গড়মাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। আর শালবনির সাতপাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ভীমচক যুবক সঙ্ঘ। দু’টি জায়গাতেই ভাল ফল করেছে বিজেপি। গোয়ালতোড়ের জিরাপাড়ার গোয়ালগেড়া শিশুসঙ্ঘ ক্লাবের অজয় মাহাতো, ছোটনাগদনা নবারুণ ক্লাবের সুখদেব মাহাতোরা বলেন, ‘‘গত বারও আমাদের ক্লাব খেলেছে। এ বার কেন নেওয়া হল না, বুঝতে পারছি না।’’ বাদ পড়া আর এক ক্লাবের কর্তার কথায়, ‘‘স্থানীয় পুলিশ বলছে তালিকা হয়েছে উঁচুমহল থেকে। জেলা পুলিশ বলছে উল্টো কথা।’’

আরও পড়ুন: বাবার ভ্যান ব্রেক কষেছে, জীবনের ট্র্যাকে স্বপ্নের সোনাজয়ী লাফ ‘পুচু’র

গত বার শালবনিতে এই প্রতিযোগিতায় ফুটবলে ছেলেদের ৭১টি দল, মেয়েদের ৬৮টি দল খেলেছিল। এ বার ছেলেদের ৭২টি দল, মেয়েদের ৭০টি দল খেলছে। অর্থাৎ সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হয়নি। বিজেপির বক্তব্য, নতুনরা সুযোগ পাক। কিন্তু তা বলে গতবারের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সরা বঞ্চিত হবে কেন!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন