Suvendu Adhikari

বহু দিন পর শুভেন্দুর মুখে ‘নেত্রী’, বার্তা কি কালীঘাটকে

এ দিনই, আবার কাঁথি শহরে শুভেন্দু অনুগামীদের ব্যানার ঘিরে নতুন করে দ্বৈরথে জড়িয়েছে পূর্ব মোদিনীপুর জেলা তৃণমূলের দুই শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটাশপুর শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ ২০:৩১
Share:

পটাশপুরে পঞ্চায়েতের সভায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র

শুভেন্দু অধিকারীর বক্তৃতায় অনেক দিন পর ‘নেত্রী’ উচ্চারণ। আর এই ছোট্ট উচ্চারণেই বড় বার্তার সুর খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে পঞ্চায়েতের এক সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু। সেখানেই নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “আমাকে বললেন নেত্রী, আমি লড়াই করলাম...।” গত বেশ কিছু দিন ধরে তাঁর প্রকাশ্য বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উচ্চারণ করেননি শুভেন্দু। এ দিন পটাশপুরে শুভেন্দুর এই ‘নেত্রী’ উচ্চারণকে কেউ কেউ দলনেত্রীর প্রতি বার্তা হিসেবেই দেখছেন।

Advertisement

তবে এ দিনই, কাঁথি শহর ছয়লাপ করে দেওয়া শুভেন্দু অনুগামীদের ব্যানার ঘিরে নতুন করে দ্বৈরথে জড়াল পূর্ব মোদিনীপুর জেলা তৃণমূলের দুই শিবির। মঙ্গলবার সকালে কাঁথি শহর ছেয়ে যায় তাঁর অনুগামীদের ‘অঙ্গীকার’ ব্যানারে। ব্যানারে রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি। লেখা রয়েছে, ‘দাদার সাথে ছিলাম আছি থাকব’। আর একদম নীচে লেখা ‘অঙ্গীকার’, যার পাশে রয়েছে একগুচ্ছ স্বাক্ষর। এই পোস্টার পড়তেই কথার যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের অভ্যন্তরে।

অধিকারী পরিবারের বিপরীত শিবিরের নেতা হিসেবে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। নতুন পোস্টার সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমরা এই ব্যাপারে রাজ্যে তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির কাছে সমস্ত বিষয় জানিয়েছি। শুভেন্দু অধিকারী দলে থেকে দলের ক্ষতি করছেন, এবং দল বিরোধী কাজ করছেন। আমরা যে রকম দলের কর্মসূচি করার তা করব। ৮ই নভেম্বর কোলাঘাটের বিজয়া সম্মেলনী করব, সেখানে আমরা কর্মী-সমর্থকদের বোঝাবো।”

Advertisement

আরও পড়ুন: বুধবার রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, সঙ্গে ফিরছে মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি

আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠক শেষে তামাং: গুরুং আমার চোখে ফেরার আসামী

অন্যদিকে অখিল গিরির বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কনিষ্ক পন্ডা বলেন, “আমাদের জেলার সভাপতি হলেন শিশির অধিকারী। অখিলবাবু হলেন কার্যকারী সভাপতি। তাই ওনার উচিত নিজের বিধানসভা কেন্দ্র রামনগরের দিকে নজর দেওয়া। কারণ ওখানে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত বেশি।” তাঁর আরও দাবি, “ওঁকে জেতাতে প্রতিবারই মাঠে নামতে হয়েছে শিশিরবাবু এবং শুভেন্দুবাবুকে। সুতরাং এই ব্যাপারে যা করার কেবলমাত্র মমতা ব্যানার্জি করবেন। আমরা মনে করি মমতা ব্যানার্জির পরে যদি কারও স্থান থেকে থাকে, তা হল শুভেন্দু অধিকারীর।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন