Suvendu Adhikari

মতুয়া ভোট নিয়ে টানাটানি, রানাঘাটে ডিসেম্বরেই অভিষেকের পাল্টা সভা করতে চান শুভেন্দু

সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই সভা করতে পারে বিজেপি। ইতিমধ্যে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলকে জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:০৯
Share:

রানাঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

শনিবার রানাঘাটে জনসভা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রানাঘাটেই এই সভার পাল্টা সভা করতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই সভা করতে পারে বিজেপি। ইতিমধ্যে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলাকে এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির তরফে। গত কয়েক বছর ধরে রানাঘাট বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হয়ে উঠেছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে ভরাডুবির পরেও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার অধীন বেশির ভাগ আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শান্তিপুর উপনির্বাচনে বিজেপির থেকে আসনটি ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। রানাঘাট-সহ ওই এলাকার পুর নির্বাচনেও দাপট দেখিয়ে বেশির ভাগ পুরসভা জিতে নিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই প্রবণতা রুখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তাই অভিষেকের পাল্টা সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।

Advertisement

শনিবার অভিষেকের সভা হবে রানাঘাটের বাণীসঙ্ঘের মাঠে। রানাঘাট বিজেপি নেতৃত্ব চেয়েছিলেন ওই মাঠেই পাল্টা সভা করুন শুভেন্দু। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হচ্ছে অভিষেকের সভা করে যাওয়া জায়গাতেই পাল্টা সভার আয়োজনের। কিন্তু প্রশাসন শেষ মুহূর্তে অনুমতি না দিলে বিকল্প হিসাবে কয়েকটি স্থানের কথা ভেবে রেখেছেন তাঁরা। রানাঘাটের এক বিজেপি নেতার কথায়, “শান্তিপুর উপনির্বাচন ও পুরভোটে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। শাসকদল ও পুলিশ সাধারণ মানুষকে বুথে ঢুকতে না দিয়ে দেদার ছাপ্পা দিয়েছে। এর ফলে ভোটে সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতিফলন দেখা যায়নি। কিন্তু আগামী পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে সাংগঠনিক জোরে আমরা শাসকদলের সেই উদ্যোগ রুখতে চাইছি। তাই বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ দিতে রানাঘাটে অভিষেকের পাল্টা সভা করতে আসবেন বিরোধী দলনেতা।”

মতুয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত রানাঘাটের মানুষের মন ফেরাতেই অভিষেক সভা করতে আসছেন। কারণ গত কয়েক বছর ধরে মতুয়া ভোটারদের মন গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকে রয়েছে। তাই গত নভেম্বর মাসে কৃষ্ণনগর এসে মতুয়া ভোটারদের বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার বার্তা দিতে আসছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর নিজেদের পক্ষে মতুয়াদের সমর্থন ধরে রাখতে চাইছে বিজেপি। তাই শুভেন্দুর সভায় মতুয়া সম্প্রদায়ের সব নেতাকে হাজির থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন গেরুয়া নেতৃত্ব।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন