mukul roy

Suvendu Adhikari & Biman Banerjee: মুকুলের বিধায়কপদ খারিজ মামলায় শুনানিতে বিধানসভায় আসতে পারেন শুভেন্দু, জানালেন স্পিকার

আনন্দবাজার অনলাইনকে স্পিকার বলেছেন, ‘‘আমার জবাব বিরোধী দলনেতাকে আমি পাঠিয়ে দিয়েছি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩৬
Share:

মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ মামলার শুনানিতে শুভেন্দু অধিকারী আসতে পারবেন চিঠি দিয়ে জানালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র

মুকুল রায়েরবিধায়কপদ খারিজ মামলার শুনানিতে বিধানসভায় আসতে পারেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার এই মর্মে শুভেন্দুকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে স্পিকার বলেন, ‘‘আমার জবাব বিরোধী দলনেতাকে আমি পাঠিয়ে দিয়েছি।’’

Advertisement

এর আগে বিধানসভায় গন্ডগোলের জেরে শুভেন্দুকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এর পর মুকুল-শুনানিতে তাঁকে বিধানসভায় শুক্রবার স্পিকারের ঘরে এসে দেখা করার কথা জানানো হয়। বুধবার সেই ডাকের প্রেক্ষিতে বিমানকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু জানতে চান, কোন পথে তিনি স্পিকারের ঘরে যাবেন? ইমেল মারফত বিরোধী দলনেতার দফতর থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয় স্পিকারের দফতরে। সেখানে বিধানসভার সচিবের একটি চিঠির কথা উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু দাবি করেন, গত ৩১ মার্চ পাঠানো ওই চিঠিতে বিধানসভায় তাঁর যাতায়াতের পথ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হয়েছে। তাই স্পিকারের কাছে শুভেন্দু জানতে চান, কোন পথে তিনি স্পিকারের ঘরে শুনানিতে অংশ নিতে আসবেন।

সেই চিঠির জবাবেই স্পিকার জানিয়েছেন, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানিতে শুভেন্দু স্পিকারের ঘরে আসতে পারেন। কিন্তু অবশ্যই তা বিধানসভার ‘ইনার লবি’ এড়িয়ে। বিধানসভার সচিবালয়ের দাবি, সাসপেন্ড থাকাকালীন কোনও বিধায়ক বিধানসভার ‘ইনার লবি’তে প্রবেশ করতে পারেন না। বিরোধী দলনেতার ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম কার্যকর। তাই ‘ইনার লবি’ বাদ দিয়ে তিনি স্পিকারের ঘরের শুনানিতে আসতেই পারেন।

Advertisement

তবে বিরোধী দলনেতার দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, শুভেন্দু স্বয়ং শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্যই চিঠি লিখেছিলেন স্পিকারকে। কিন্তু স্পিকার তাঁর চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দুর বদলে তাঁর আইনজীবী এলেও অসুবিধা নেই।

প্রসঙ্গত, বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিনেই অধিবেশন কক্ষে বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় স্পিকার সাসপেন্ড করেন বিরোধী দলনেতা-সহ পাঁচজন বিধায়ককে। আগেই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী ও সুদীপ মুখোপাধ্যায় সাসপেন্ড হয়েছিলেন। ৩১ মার্চ বিধানসভার সচিব চিঠি লিখে বিজেপির সাতজন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ককে জানিয়ে দেন এই সময় কালে বিধানসভায় তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন না সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ততদিন তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই হাতিয়ার করেই স্পিকারকে চিঠি দেন শুভেন্দু। সম্প্রতি কলকাতা হাই কোর্ট ফের স্পিকারকে মুকুলের দলত্যাগ মামলার শুনানির নির্দেশ দেয়। সেই ভিত্তিতেই শুক্রবার দুপুরে শুনানি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন