প্লাস্টিক নয় তো? ডিম কেনার আগে খুঁটিয়ে দেখে নিচ্ছেন ক্রেতা। রবিবার মানিকতলা বাজারে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
অভয় দিচ্ছেন মন্ত্রী।
ডিম নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে রবিবার জানিয়ে দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। অযথা যাতে আতঙ্ক ছড়ানো না-হয়, সেই আবেদনও জানান তিনি। তবে প্লাস্টিক ডিম নিয়ে গুজবের হাওয়ায় হালিশহরে এ দিন গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুই ডিম ব্যবসায়ীকে। পার্ক সার্কাসে এক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হন আগেই। যদিও কোথাও আস্ত প্লাস্টিক ডিমের অস্তিত্ব মেলেনি।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী কালনার এক অনুষ্ঠানে জানান, কিছু জায়গা থেকে ডিমের নমুনা বেলগাছিয়ার প্রাণী ও মৎস্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রাণিসম্পদ দফতরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্টে কোনও গরমিল ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অরুণাভ বসু নামে হালিশহরের এক বাসিন্দা এ দিন ডিম খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পেয়ে ডিম কারবারের মহাজন পরিতোষ নাগ ও ডিম বিক্রেতা অশোককুমার ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অরুণাভবাবুর প্রেসক্রিপশনে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক লিখেছেন, এই অসুস্থতার পিছনে সন্দেহজনক ডিমের ভূমিকা থাকতে পারে! ‘‘গরমে ডিম খেয়ে পেট গরম হতেই পারে। তাতে কি প্লাস্টিক ডিমের অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়,’’ প্রশ্ন তুলছেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক বিজনবিহারী রথ।
ভিন্ রাজ্য থেকে ডিম নিয়ে আসা গাড়ির সংখ্যা কিছুটা কমেছে ঠিকই। তবে ডিম কারবারিদের একাংশের দাবি, বাসন্তী নবরাত্রির মরসুমে ডিমের আমদানি কমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই সময়ে আমিষাশী অনেক ব্যক্তিও মাছ, মাংস ও ডিম এড়িয়ে চলেন।