ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ তপন-সুকুরকে

নন্দীগ্রামে খুনের জন্য অপহরণের মামলায় ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হল গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলি সহ ৯ নেতা-কর্মীর। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের (তৃতীয়) এজলাসে শুনানির সময় তপন-সুকুর সহ ৯ জনকে ওই মামলায় ফের যুক্ত করার বিরুদ্ধে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৫ ০১:৪৭
Share:

জেলা আদালতের বাইরে তপন ঘোষ ও সুকুর আলি। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস।

নন্দীগ্রামে খুনের জন্য অপহরণের মামলায় ফের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ হল গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষ, সুকুর আলি সহ ৯ নেতা-কর্মীর। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারকের (তৃতীয়) এজলাসে শুনানির সময় তপন-সুকুর সহ ৯ জনকে ওই মামলায় ফের যুক্ত করার বিরুদ্ধে সওয়াল করেন তাঁদের আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক সুজয় সেনগুপ্ত ওই মামলায় অভিযুক্ত তপন-সুকুর সহ ৯জনকে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ও আগামী ৫ অগস্ট মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য করেন।
সিপিএমের নন্দীগ্রাম ‘পুনর্দখল’ পর্বে ২০০৭-এর ১০ নভেম্বর গোকুলনগরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সমর্থকদের মিছিলে হামলার পরে, আহতদের গাড়িতে চাপিয়ে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে তপন-সুকুরদের বিরুদ্ধে। সোনাচূড়ার কল্পনা মুনিয়ান, যাদব পাল, ভিকেন গায়েনকে গুরুতর জখম অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে নিয়ে যাওয়ার পথে, এগরা শহরের কাছে স্থানীয় লোকজন গাড়ি আটকায়। আহতদের উদ্ধার করে এবং সিপিএম নেতা-কর্মীদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপর তপন-সুকুর-সহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে এগরা থানার পুলিশ। খুনের জন্য অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়। পরে তদন্ত-ভার নেয় সিআইডি।

Advertisement

২০০৮ সালে সিআইডি যে চার্জশিট দেয়, তাতে অবশ্য নাম ছিল না তপন ঘোষ, সুকুর আলি, মেঘনাদ ভুঁইয়া, সনাতন মাজি, অভিরাম মাহাতো-সহ ন’জনের। বাকি পাঁচ জনও পরে জামিন পান। কিন্তু চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সরকার পক্ষ চার্জশিট থেকে বাদ যাওয়া ন’জনের নাম ফের মামলায় জোড়ার জন্য তমলুক জেলা আদালতে আবেদন জানান। ১১ মার্চ সেই আবেদন মঞ্জুর হয়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন তপন-সুকুররা। তবে গত এপ্রিলে হাইকোর্ট তাঁদের আবেদন নাকচ করে দেয়।

পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অভিযুক্ত ন’জনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তাঁরা না আসায় বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। দিন পনেরা আগে সবাই আত্মসমর্পণ করেন। সেদিনও তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফজাতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। সেই মামলাতেই মঙ্গলবার হাজির করা হয় তপন-সুকুরদের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন