৩০-৩৫ বছর অন্তর ঘুম ভাঙে পশ্চিমবঙ্গের, ফেসবুকে খোঁচা তসলিমার

পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ৩০-৩৫ বছরের আগে ঘুম থেকে জাগেন না। মন্তব্য তসলিমা নাসরিনের। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে কটাক্ষ করেই এমন মন্তব্য বাংলাদেশি লেখিকার। শনিবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করে তসলিমা এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৬ ১৫:৩৫
Share:

ছবি: লেখিকার ফেসবুক পেজের সৌজন্যে।

পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ৩০-৩৫ বছরের আগে ঘুম থেকে জাগেন না। মন্তব্য তসলিমা নাসরিনের। বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে কটাক্ষ করেই এমন মন্তব্য বাংলাদেশি লেখিকার। শনিবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট করে তসলিমা এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

Advertisement

বাংলা থেকে কিন্তু এই মুহূর্তে অনেক দূরে রয়েছেন তসলিমা। আমেরিকায় রয়েছেন তিনি। কিন্তু, তসলিমা ভৌগোলিক ভাবে যেখানেই থাকুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিভিন্ন পোস্ট বার বার বুঝিয়ে দেয়, মানসিক ভাবে তিনি দুই বাংলারই খুব কাছাকাছি। দুই বাংলার যে কোনও বড় সামাজিক বা রাজনৈতিক ইস্যু নিয়েই ফেসবুকে মন্তব্য করতে দেখা যায় লেখিকাকে। ফলে বাংলার বহুচর্চিত বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোলে তলসিমা যে প্রতিক্রিয়া দেবেন, তা প্রত্যাশিতই ছিল।

শনিবার তসলিমা নাসরিন ফেসবুকে যে দেড় লাইনের পোস্টটি করেছেন, তাতে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি যে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গেই তিনি এই পোস্ট করছেন। তবে তাঁর ইঙ্গিত যথেষ্ট পরিষ্কার। তসলিমা লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ স্ট্যাটাস কুয়ো (স্থিতাবস্থা) পছন্দ করে। তিরিশ-পঁয়ত্রিশ বছর না গেলে জাগে না, পরিবর্তনও চায় না। অভ্যেস নেই।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

সঙ্কটে অবিচল সেনাপতিরা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূলের সরকার যে ভোটের আগে নানা ঘটনায় পাহাড়প্রমাণ বিতর্কের মধ্যে ছিল, তা বলাই বাহুল্য। তার মধ্যেই বিরোধীদের ধরাশায়ী করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছেন। বাংলার মানুষের এই রায়কেই খোঁচা দিয়েছেন তসলিমা। এত বিতর্কিত সরকার এত গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরায় বাংলাদেশি লেখিকা যে বিস্মিত, তা বোঝা গিয়েছে পোস্টটিতে। এর আগে নানা বিতর্ক উপেক্ষা করে বামেদেরও টানা ৩৪ বছর ক্ষমতায় রেখেছিল বাংলা। তৃণমূলের ক্ষেত্রেও বাংলার ঘুম সহজে ভাঙবে না বলে তসলিমা মনে করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন