Mamata Banerjee-Natarajan Chandrasekaran

মমতা-টাটা কর্তা সাক্ষাৎ! নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন চন্দ্রশেখরণ, হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব পন্থও

নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার এন চন্দ্রশেখরণ। তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছে, অতীত ভুলে কি এ বার রাজ্যে বিনিয়োগের পথে হাঁটবে টাটা গোষ্ঠী?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫ ১৯:৫০
Share:

নবান্নে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার এন চন্দ্রশেখরণ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার এন চন্দ্রশেখরণ। তাতে জল্পনা তৈরি হয়েছে, রাজ্যে কি নতুন বিনিয়োগের পথে হাঁটবে টাটা গোষ্ঠী?

Advertisement

নবান্নে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার উত্তরীয় পরানোর ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূলের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে। লেখা হয়েছে, ‘‘শিল্পক্ষেত্রে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজ নবান্নে টাটা সন্‌স এবং টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা করাই যায়, এই আলোচনা ভবিষ্যতের শিল্প বিনিয়োগে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রশেখরণের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও ছিলেন। কিন্তু বৈঠকে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। মমতা বা চন্দ্রশেখরণও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

চলতি বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একবার টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের ফোনে কথা হয়েছিল। মমতা নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রিলায়্যান্স, জিন্দল, আরপিএসজি-সহ দেশের প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠীর মুখ্য শিল্পপতিরা যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে টাটা গোষ্ঠীর প্রথম সারির কেউ ছিলেন না। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘টাটা সন্সের এখন যিনি দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, বিশেষ কারণে উনি বিজিবিএসে আসতে পারছেন না। তবে সিইও স্তরের কর্তাদের তাঁরা পাঠিয়েছেন। টাটারা বাংলার জন্য অনেক কিছু করতে চায়।’’

Advertisement

সেই সময়েই মমতা জানিয়েছিলেন, টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার তাঁকে বলেছেন, সুযোগ পেলেই তিনি কলকাতা এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তার চার মাস পর বুধবার সাক্ষাৎ হল দু’জনের।

টাটা গোষ্ঠীর মোটরগাড়ি কারখানাকে ঘিরেই সিঙ্গুরে জমি আন্দোলনে নেতৃত্বে দিয়েছিলেন মমতা। যা তাঁর ক্ষমতায় আসার অন্যতম সূচক হিসাবে ধরা হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে এবং পরে মমতা একাধিক বার বলেছেন, তাঁরা কখনওই টাটার বিরুদ্ধে নন। তৎকালীন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন সরকার যে কায়দায় জোর করে জমি অধিগ্রহণ করেছিল, তিনি তার বিরুদ্ধে ছিলেন। যদিও সেই আন্দোলনের সময়ে টাটার পণ্য বয়কটের কর্মসূচিও হয়েছিল সিঙ্গুরে।

কিন্তু সে সব এখন অতীত। বিরোধী নেত্রী থেকে মমতা এখন তৃতীয় মেয়াদের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের অনেকের মতে, প্রশাসক হিসাবে মমতার যা করা দরকার, তা-ই করেছেন। এর মধ্যে অতীত টানা বাতুলতা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement