টেট প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্তে শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট) তদন্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক শিক্ষককে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল কলকাতা পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির হেলিয়াগাছি প্রাথমিক ওই শিক্ষক মইদুল ইসলাম বিধানসভা নির্বাচনে জেলা জু়ড়ে জোটপ্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৬ ১২:৪৬
Share:

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট) তদন্তে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এক শিক্ষককে লালবাজারে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করল কলকাতা পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির হেলিয়াগাছি প্রাথমিক ওই শিক্ষক মইদুল ইসলাম বিধানসভা নির্বাচনে জেলা জু়ড়ে জোটপ্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেছিলেন। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত তিনি।

Advertisement

১১ অক্টোবর গোটা রাজ্যে টেট পরীক্ষা হয়। পুলিশ জানায়, টেটের প্রশ্নপত্র আগেই বাইরে চলে যাওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতেই চুরি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে গোয়েন্দা বিভাগের স্পেশাল সেল তদন্ত শুরু করে।

১১ অক্টোবর পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টা আগে একটি টিভি চ্যানেলের অফিসে একটি প্রশ্নপত্র আসে। তার প্রতিলিপি গড়িয়াহাট থানায় জমা দেন ওই চ্যানেলের এক প্রতিনিধি। প্রথমে পুলিশ সেই প্রতিলিপি পাঠায় শিক্ষা দফতরকে। পরে চ্যানেলের তরফে ওই প্রতিলিপি পাঠানো হয় শিক্ষাসচিবের কাছেও।

Advertisement

প্রাথমিক ভাবে শিক্ষা দফতরের কর্তাদের একাংশ সামগ্রিক ভাবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উড়িয়ে দেন। তাঁরা দাবি করেন, হোয়াটস্‌অ্যাপে প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছে। এটা সাইবার অপরাধ হলেও প্রশ্ন ফাঁস নয়। পরবর্তী কালে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। আদালতে সরকারপক্ষ জানায়, এ নিয়ে দু’মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করা হবে। আদালত জানায়, ২৩ নভেম্বর হলফনামা দাখিল করতে হবে রাজ্যকে। যদিও সেই তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

নবান্ন সূত্রের খবর, প্রশ্নপত্র ফাঁসের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে না। সেই ঘটনাতেই এ দিন ডেকে পাঠানো হয়েছে ওই শিক্ষককে। যদিও ওই শিক্ষক মইদুল ইসলামের বক্তব্য, ২০১২ সালের টেটের প্রশ্নপত্র নিয়ে দুর্নীতি আমিই ফাঁস করেছি। তাই আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement