মান কমছে শিক্ষার, ভাবনায় শিক্ষকরা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু সেই তুলনায় শিক্ষার উৎকর্ষ চোখে পড়ছে না। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১তম সমাবর্তনের মঞ্চে এমন আক্ষেপই শোনা গেল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)-র চেয়ারম্যান অনিল ডি সহস্রবুদ্ধির মুখে।

Advertisement

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:০৫
Share:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু সেই তুলনায় শিক্ষার উৎকর্ষ চোখে পড়ছে না। শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬১তম সমাবর্তনের মঞ্চে এমন আক্ষেপই শোনা গেল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই)-র চেয়ারম্যান অনিল ডি সহস্রবুদ্ধির মুখে।

Advertisement

অনিলের কথায়, ‘‘এই মুহূর্তে দেশে ৫০ হাজার কলেজ এবং ৭৮০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। ডিগ্রিধারীর সংখ্যা বিপুল বাড়লেও সেই অনুপাতে শিক্ষার মান বাড়েনি।’’ যে কারণে চাকরির বাজারেও মন্দা বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্রদের থেকে সেরাটা বার করে আনার তাগিদ শিক্ষকদেরই বাড়াতে হবে।’’ অনিলের সঙ্গে গলা মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসও বলেন, ‘‘উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ডিগ্রির সংখ্যার সঙ্গে গুণগত মানের তালমিল থাকছে না।’’

অনিল এবং সুরঞ্জনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং নাকের প্রতিনিধিদলের সদস্য অশোকনাথ বসু। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু তা যথাযথ ভাবে কাজে লাগানোর মতো অভিজ্ঞতা নেই। তাই উৎকর্ষও নেই।’’

Advertisement

বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় আবার অনিলের বক্তব্য মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘এআইসিটিই উৎকর্ষ শব্দের মানেই জানে না! ভাল রেজাল্ট নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও কত জন চাকরি পাচ্ছে না। আসলে কাজের বাজারটাই খারাপ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন