আহত শিক্ষক টোটন মল্লিক। —নিজস্ব চিত্র।
টুকলিতে বাধা দেওয়ায় এক শিক্ষিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, অন্য এক শিক্ষককে ইট দিয়ে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠল কয়েক জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের কাটোয়ার কাশীরাম বিদ্যায়তনে।
এ দিন কী হয়েছিল?
কাশীরাম বিদ্যায়তন স্কুল সূত্রে খবর, সকাল ১০টা থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় স্কুলে। ভারতীভবন স্কুলের সিট পড়েছিল ওই স্কুলে। স্কুলের একতলার ৩৯ নম্বর ঘরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরীক্ষায় গার্ড দিচ্ছিলেন শিক্ষিকা পামিলা যশ এবং শিক্ষক টোটন মল্লিক। বেলা ১১টা নাগাদ ছাত্রেরা টোকাটুকি শুরু করলে পামিলা তাদের বাধা দেন। তা নিয়ে ছাত্রদের মনে রাগ ছিল। পরীক্ষা শেষ হলে সেই রাগেরই ‘শোধ’ তোলে ছাত্রেরা।
ওই শিক্ষিকা জানান, দুপুর দেড়টায় পরীক্ষা শেষ হলে ছাত্রদের কাছ থেকে খাতা সংগ্রহ করছিলেন তিনি। তখনই কয়েক জন ছাত্র তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করতে শুরু করে। শিক্ষক টোটন মল্লিক তাতে বাধা দেন। ছাত্রেরা ক্লাস থেকে বাইরে বেরিয়ে ইট তুলে নিয়ে ওই দুই শিক্ষককে উদ্দেশ্য ছুড়ে মারে। ওই ইটের টুকরোটি টোটনবাবুর মুখে লাগে। তাঁর বেশ কয়েকটি দাঁত ভেঙে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ৯৬ হাজার টাকার পুরনো নোট, মায়ের সঞ্চয় জলে, বিপাকে অনাথ সন্তানেরা!
সুধীনবাবু জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি পুলিশ এবং কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ঘটনাকে বরদাস্ত করা হবে না। দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’’