প্রতীকী ছবি।
অতিমারির দাপটে যে সব পড়ুয়ার পঠনপাঠনে বিপুল ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, তাদের বিশেষ যত্ন নিতে হবে। এই বিষয়ে শিক্ষকদের দায়িত্ব অনেকটাই।
সোমবার আনন্দবাজার পত্রিকা ও দ্য টেলিগ্রাফ আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তাদের কথায় মূলত এই বক্তব্যই উঠে এল। অন্যতম বক্তা চিকিৎসক কুণাল সরকার বলেন, ‘‘শিক্ষক সমাজকে অবশ্যই এক হয়ে কাজ করতে হবে। করোনায় মৃতের সংখ্যা না গুনে যাতে অতিমারি চলাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত পড়ুয়ারা মূলধারায় আবার ফিরতে পারে।’’ ফিউচার হোপ সংস্থার সিইও সুজাতা সেনের মতে, কিছু স্কুলের পড়ুয়া অনলাইন শিক্ষার সুযোগ পেলেও বিপুল সংখ্যকই তা পায়নি। সে দিকে অবশ্যই তাকাতে হবে। করোনাকালে পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যেরও যে ক্ষতি হয়েছে তারও উল্লেখ করেন তিনি। আলোচনার অন্যতম বক্তা রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ম্যাকাউট) উপাচার্য সৈকত মৈত্র অবশ্য অনলাইন শিক্ষায় গুরুত্ব দেন। তাঁর বক্তব্য, অনলাইন পঠনপাঠন শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। তবে শিক্ষায়তন ফাউন্ডেশনের মহা সচিব ব্রততী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনলাইন শিক্ষা এখনও আদর্শ শিক্ষাব্যবস্থা হয়ে উঠতে পারেনি।’’
ডিজিটাল ডিভাইড ও শিক্ষার ভবিষ্যৎ, অত্যাধুনিক পরিকাঠামো সুন্দর ক্যাম্পাস নতুন বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের আস্থা অর্জনে কতটা প্রস্তুত, অতিমারি পরবর্তী সময়ে ক্লাসরুম এবং বাইরের জগতে মানিয়ে নিতে ছাত্রছাত্রীদের কী কী করণীয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়, সেমন্তী ঘোষের সঞ্চালনায়। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সত্যম রায়চৌধুরী, রাইস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সমিত রায়, আইআইএইচএম এর প্রতিষ্ঠাতা সুবর্ণ বসু, জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত, ডাক্তার বিসি রায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সোসাইটির সভাপতি সত্যজিৎ বসু, জর্জ গ্রুপ অব কলেজের অধিকর্তা মনোজ জোশী, সুভাষ বোস ইনস্টিটিউট অব হোটেল ম্যানেজমেন্টের অধিকর্তা বিদিশা সরকার, আইআইএইচএম-এর অধ্যক্ষ দেবজ্যোতি জে গোমস, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষণা বিভাগের প্রশাসক অরিতা আচার্য।