উদ্ধারের পরে অসুস্থ নাবালিকা হাসপাতালে

দিল্লির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওই কিশোরী নিখোঁজ হয় ১২ জুলাই। স্থানীয় এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কলকাতায় আনে, পরে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে গোবিন্দপুরীতে বিক্রি করে দেয়।

Advertisement

দীক্ষা ভুঁইয়া

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দু’‌বেলা খাওয়ার আগে তাকে জোর করে ‘সাদা পাউডার’, ট্যাবলেট খাওয়ানো হত এবং ইঞ্জেকশন দেওয়া হত বলে অভিযোগ ১৬ বছরের কিশোরীর। নিত্য যৌন নির্যাতন সহ্য করতে হত তাকে। দিল্লি থেকে উদ্ধার করে কলকাতায় আনার পরেও থেকে থেকে কেঁপে উঠছে সে।

Advertisement

দিল্লির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ওই কিশোরী নিখোঁজ হয় ১২ জুলাই। স্থানীয় এক যুবক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কলকাতায় আনে, পরে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে গোবিন্দপুরীতে বিক্রি করে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় যৌন ব্যবসার জন্য পাঠানো হত তাকে। কোনও রকমে বাড়িতে ফোন করে খবর দিলেও ঠিকানা বলতে পারেনি সে। সিআইডি তদন্তে নেমে জানতে পারে, মির্জা মোল্লা নামে এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে ওই কিশোরীকে বারবার ফোন করা হত। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মির্জাকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় মির্জা জানায়, মেয়েটিকে গোবিন্দপুরীতে মঞ্জুলা বেগম ওরফে অঞ্জুলার কাছে ৪০ হাজার টাকায় বেচে দিয়েছে।

অভিযুক্ত মির্জাকে নিয়েই সিআইডি দিল্লি গিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে গোবিন্দপুরী থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। মঞ্জুলা ছাড়াও গ্রেফতার হয় সোমনাথ রাজু নামে পাচার চক্রের এক জন।

Advertisement

কলকাতায় একটি হোমে নিয়ে যাওয়ার পরে হোম-কর্তৃপক্ষ দেখেন, ঠিকমতো বসতেও পারছে না ওই নাবালিকা। শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে ঋষিকান্ত জানান, নাবালিকাদের দ্রুত শারীরিক বৃদ্ধির জন্য পাচারকারীরা এই ধরনের ইঞ্জেকশন দেয়। দেওয়া হয় গর্ভ-নিরোধক ওষুধও। তিনি বলেন, ‘‘গোয়েন্দাদের তদন্ত করে দেখা উচিত, মেয়েদের ওই পাউডার-ট্যাবলেট ও ইঞ্জেকশন কেন দেওয়া হয় এবং তাতে কী ক্ষতি পারে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন