প্রবেশিকার পক্ষে সওয়াল তিস্তার

সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলার প্রশ্নে তিস্তা বলেন, ‘‘অনেক সময়েই সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতা সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়। সুতরাং, সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতাকেও আক্রমণ করতে হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৬
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী ভর্তির দাবিতে আন্দোলনে জয়ের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানালেন নাগরিক অধিকার কর্মী তিস্তা শেতলবাড়। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র সংসদের ডাকে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘সমসাময়িক ভারতে সংখ্যালঘুর অধিকার’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন তিস্তা। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার যাদবপুর, দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, হায়দরাবাদে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়— সব ক’টি প্রতিষ্ঠানই আক্রমণের মুখে। প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি নিলে দলিত, আদিবাসী-সহ সমাজের সব স্তরের পড়ুয়ারা এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পান। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ইত্যাদি করতে পারেন। তার ফলে তাঁদের ক্ষমতায়ন হয়। তখন তাঁরা সমাজের, দেশের প্রতিষ্ঠান, কর্তৃপক্ষদের প্রশ্ন করতে পারেন। তাঁদের ওই প্রশ্ন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার জন্যই প্রবেশিকা পরীক্ষা বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে।

Advertisement

সংখ্যালঘুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি দলিত, আদিবাসী, মহিলা, রাজনৈতিক সংখ্যালঘু— সকলেরই জোট প্রয়োজন বলে এ দিন মন্তব্য করেন তিস্তা। তা হলে কি তিনি জাতীয় স্তরে রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বিজেপি বিরোধী জোটের কথা বলছেন? তিস্তা বলেন, ‘‘সে সব বলার সময় এখনও আসেনি।’’ সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলার প্রশ্নে তিস্তা বলেন, ‘‘অনেক সময়েই সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতা সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়। সুতরাং, সংখ্যাগুরুর সাম্প্রদায়িকতা রুখতে হলে সংখ্যালঘুর সাম্প্রদায়িকতাকেও আক্রমণ করতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন