শীতের-পরশ: নিউ মার্কেটে শনিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
ফের পারদ পতন মহানগরে! হাওয়া অফিস সূত্রের খবর, শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। এই মরসুমে মহানগরের রাতের তাপমাত্রা এই প্রথম স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নামল। আজ, রবিবার তাপমাত্রা আর একটু নামতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর, শুধু কলকাতা নয়, জাঁকিয়ে ঠান্ডা প়ড়েছে জেলাগুলিতেও। বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান, বহরমপুর— সব জায়গাতেই রাতের তাপমাত্রা ১৩-১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছেপিঠে ঘোরাফেরা করছে। বীরভূমের শ্রীনিকেতনে এ বার নভেম্বর থেকেই রেকর্ড ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এ দিন সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৭ ডিগ্রি, স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম।
হাওয়া অফিসের কর্তারা জানাচ্ছেন, নভেম্বর মাস থেকেই ধাপে ধাপে শীত প়ড়তে শুরু করে। কিন্তু কোনও কোনও বছর নভেম্বরেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা প়ড়ে যায়। যেমন, ২০১২ সালে নভেম্বরেই গত এক দশকের রেকর্ড ঠান্ডা পড়েছিল। এ বার সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে শ্রীনিকেতন।
কেন এমন আচমকা ঠান্ডার হানা?
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, সম্প্রতি কাশ্মীর ও উত্তরাখণ্ডে তুষারপাত হয়েছে। তার ফলে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। রাজস্থানের সিকারে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের সমতল এলাকায় সেটাই সব থেকে কম। উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে কনকনে ঠান্ডা উত্তুরে হাওয়া বয়ে আসছে বাংলায়। তার ফলেই এমন পারদ পতন। মৌসম ভবনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে এখনও ঠান্ডার দাপট অব্যাহত থাকবে। তার ফলে উত্তুরে হাওয়ার জোর কমার তেমন আশঙ্কা নেই। তবে আজ, রবিবার সিকিমে একটি ঝঞ্ঝা (ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা, ভারী হাওয়া) সিকিমের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। তার ফলে কাল, সোমবার থেকে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বা়ড়তে পারে। কিন্তু সেই বৃদ্ধি শীতের পথে খুব বড় বাধা তৈরি করবে না বলেই মনে করছেন আবহবিজ্ঞানীরা।