পরিদর্শনে কমিটি। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গিপুরে ভারত-বাংলা দেশ সীমান্ত পরিস্থিতি সরজমিনে ঘুরে দেখলেন দেশের সীমান্ত উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র সচিব মধুকর গুপ্তা। সঙ্গে ছিলেন কমিটির অন্য সদস্যরাও। পরে তিনি পড়শি নদিয়া-সহ বাংলাদেশে সীমান্ত লাগোয়া অন্য জেলাগুলিও সরজেমিন ঘুরে দেখতে পারেন বলে বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সম্প্রতি প্রাক্তন সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে। ভারত- বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় প্রহরার হাল হকিকত খতিয়ে দেখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি তা খতিয়ে দেখতেই ওই সরজেমিন সফর বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, এর আগে মধুকর গুপ্তাকে মাথায় রেখে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পরিস্থিতি নিরূপণে একটি কমিটি গড়া হয়। সে কমিটি গত অগষ্ট মাসে একটি রিপোর্টও দেয়। সেই মত সীমান্তে ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।এ বার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তের অবস্থা খতিয়ে দেখতে ফের মধুকর গুপ্তাকেই তাই চেয়ারম্যান করে কমিটি গড়া হয়েছে।
সীমান্তে ফেনসিং, এলাকার স্থানীয় সমস্যা, বর্ডার আউটপোস্টে পরিকাঠামো, বিএসএফের ফোর্স সংখ্যা, জাল নোটের বিস্তার, গরু পাচার ও অনুপ্রবেশ বন্ধ ইত্যাদি বিষয়ে পরামর্শের জন্য ওই কমিটির সরজমিন সফর বলে জানা গিয়েছে। চার মাস পরে কমিটি তার রিপোর্ট পেশ করবে বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্তে জাল নোট, সীমান্ত অনুপ্রবেশ এবং গরু পাচারের রমরমা হিসেবে জঙ্গিপুরের নাম বার বার উঠে এসেছে তাই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা প্রথমে এখানে এসেছেন বলে খবর। এখান থেকে বিকেলে তাঁরা যান মালদহের কালিয়াচক এলাকায়।
বুধবার হেলিকপ্টারে নেমে মধুকর প্রথমে যান জঙ্গিপুরের বাহুরা বিএসএফ ক্যাম্পে। সেখান থেকে নৌকোয় যান পিরোজপুর চর লাগোয়া বিএসএফ বিওপি-তে।
ঘন্টাখানেক সেখানে কাটিয়ে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। মুর্শিদাবাদে সীমান্ত পথের ৯০ শতাংশেরও বেশি জলপথ। সেই কারণেই সীমান্ত প্রহরায় কাঁটাতারের ব্যবস্থা, আলো ও রাস্তা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বিএসএফকে। ফোর্সের সংখ্যাও যথেষ্ট কম। বিএসএফের পক্ষ থেকে সমস্ত বিষয়টিই জানানো হয় তাকে।