West Bengal Transport Department

More Buses in Road: বকেয়ায় ছাড় পেলে বাড়তি বাস রাস্তায় নামাবে বেসরকারি বাস মালিকরা

পুরনো বাসের দাম মিটিয়ে পরিবহণ পরিষেবা দিতে চাওয়ার অনুমতি চাইল বাস মালিকরা। পরিবহণে গতি বাড়াতে মন্ত্রী ফিরহাদের দ্বারস্থ মালিক সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২২ ১৪:৪২
Share:

জেএনএনইউআরএমের বাসগুলি দেওয়া হয়েছিল বাস মালিকদের। প্রতীকী ছবি

ছাড় দিয়ে পুরনো বাসের দাম মিটিয়ে পরিবহণ পরিষেবা বাড়াতে চায় বেসরকারি বাস মালিকরা। বুধবার এই মর্মে পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি দাবি সনদ তাঁর হাতে তুলে দিয়েছেন জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেট। সেই দাবিপত্রে লেখা হয়েছে, ২০১০ সালে জহওরলাল নেহরু আরবান রিনিউয়াল (জেএনএনইউআরএম) কর্মসূচির আওয়াত ৬০০ বাস বেসরকারি বাস মালিকদের দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বাসগুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার ৩৫ শতাংশ ও রাজ্য সরকার ১৫ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। দুই লক্ষ টাকা সিকিউরিটি ডিপোজিট জমা করে ৯৬ মাসের ২২ হাজার টাকার কিস্তিতে বাস নেয় বাস মালিকরা। বাসের মোট দাম ধার্য হয়েছিল ১৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা।

Advertisement

কিন্তু বাসগুলি চালাতে হিমসিম খায় বাস মালিকরা। এই বাসগুলি চালানো যেমন ব্যয়বহুল, তেমনই লাভের অঙ্কও কম। তাই ধীরে ধীরে বাসে সংখ্যা কমতে শুরু করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাস মালিকরা কিস্তি না দিতে পারায় বাসগুলি বাজেয়াপ্ত করে সরকার। বর্তমানে সেই ৬০০ বাসের মধ্যে কলকাতার রাস্তায় চলাচলের যোগ্য রয়েছে ৪০-৪৫টি বাস। এই বাসগুলির দাম ছয় কিস্তিতে মিটিয়ে কলকাতায় রাস্তায় নামিয়ে গণপরিবহণ পরিষেবায় সামিল করতে চায় বেসরকারি বাস মালিকরা। এ ক্ষেত্রে আগের জমা দুই লক্ষ টাকা ও এ যাবৎ কিস্তিতে দেওয়ার অর্থ বাদ দিয়ে বাকি টাকা ছয় কিস্তিতে দেওয়ার সুযোগ করে দাবি তুলেছেন তাঁরা। বুধবার পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁরা এই দাবি জানান। মন্ত্রী বিষয়টি দেখভালের জন্য দায়িত্ব দেন দফতরের সচিবকে।

জয়েন্ট কাউন্সিলর অব বাস সিন্ডিকেটের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লকডাউনের ফলে বেসরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা একেবারেই ভেঙে পড়েছে। তাছাড়া জেএনএনইউআরএমের বাস চালিয়ে বাস মালিকরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কিন্তু যে সব বাস এখনও চলাচলের যোগ্য রয়েছে, তার দাম মিটিয়ে আমরা চালাতে চাই। মন্ত্রী আমদের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আমরা আশা করব শীঘ্রই সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন