নন্দীগ্রামের নিখোঁজদের খোঁজে মামলা

ওই দিন রীতিমতো পরিকল্পনা করে খেজুরি দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকেছিল সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের আক্রমণে তৃণমূল ও ‘ভূমি বাঁচাও কমিটি’র লোকজন পিছু হটেছিল। লাগাতার সাত দিন ধরে এলাকা দখল চলেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৩১
Share:

ফাইল চিত্র।

‘অপারেশন সূর্যোদয়’-এর মাধ্যমে সিপিএমের নন্দীগ্রাম দখলের প্রসঙ্গ ফিরে এল বুধবার, দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকে।

Advertisement

বৈঠকের শেষবেলায় তমলুকের বিধায়ক, তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, ‘‘২০০৭-এর ৭ নভেম্বর সিপিএমের হামলায় বহু লোকের মৃত্যু হয়েছিল। ১১ জন নিখোঁজ হন। এখনও তাঁদের হদিস মেলেনি। ঠিক কী হয়েছিল, কোথায় গেলেন তাঁরা, তা জানতে আমি ওই মামলার তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।’’ মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিয়েছেন সেই দাবি। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই মামলার নথিপত্র সিআইডি নিয়ে গিয়েছে।

পুলিশ বলছে, ওই দিন রীতিমতো পরিকল্পনা করে খেজুরি দিয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নন্দীগ্রামে ঢুকেছিল সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। তাঁদের আক্রমণে তৃণমূল ও ‘ভূমি বাঁচাও কমিটি’র লোকজন পিছু হটেছিল। লাগাতার সাত দিন ধরে এলাকা দখল চলেছিল। তখন মহাকরণের অলিন্দে দাঁড়িয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব প্রসাদরঞ্জন রায় জানিয়েছিলেন, খেজুরির দিক থেকেই প্রথম গুলি চলেছিল। ওই মন্তব্যের জেরে সরে যেতে হয় তাঁকে।

Advertisement

পালাবদলের পরে ওই হামলার তদন্তভার সিআইডির হাতে দেয় রাজ্য সরকার। ৮৭ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই মামলায় মুম্বই থেকে সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাউ ও অশোক গুড়িয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে খেজুরির সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস, গড়বেতার সিপিএম নেতা তপন ঘোষ ও সুকুর আলি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু তার পরেও নিখোঁজদের সম্পর্কে কোনও তথ্য বার করতে পারেনি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন