DA Case postponed

‘বড় সময় প্রয়োজন’, ডিএ মামলার শুনানি আবার পিছিয়ে দিয়ে বলল সুপ্রিম কোর্ট

ডিএ মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। কিন্তু তার পর থেকে বার বার পিছিয়েছে শুনানির দিন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৫:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যের সরকারি কর্মীদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার জন্য অপেক্ষা বাড়ল। সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছিয়ে গেল ডিএ সংক্রান্ত মামলা। তবে আশার কথা এই যে, দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, এই মামলার শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হবে।

Advertisement

শুক্রবার ডিএ সংক্রান্ত রাজ্যের মামলাটির শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথিলের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। সেখানে রাজ্যের তরফেই প্রথম শুনানির দীর্ঘসূত্রিতার কথা বলা হয়।

রাজ্যের তরফে হাজির ছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ডিএ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। রাজ্যের প্রায় চার লাখের কাছাকাছি কর্মীর জন্য রাজ্যের উপরে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকার বোঝা পড়বে। তাই এই মামলায় দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন আছে।’’ রাজ্যের যুক্তি শোনার পর দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যে হেতু মামলাটির দীর্ঘ শুনানির প্রয়োজন রয়েছে, তাই মামলাটির শুনানির জন্য নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হবে। যদিও সেই দিন বা তারিখ কবে, তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি বেঞ্চের তরফে।

Advertisement

ডিএ মামলার রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী। গত বছর ৫ ডিসেম্বর মামলাটি প্রথম বার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। পরে শুনানির দিন পিছিয়ে ১৪ ডিসেম্বর করা হয়। পাশাপাশি, এই মামলা শুনানির জন্য নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করা হয়। সেখানে ছিলেন দুই বিচারপতি, বিচারপতি হৃষীকেশ রায় এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। কিন্তু শুনানির দিনই মামলাটি থেকে সরে দাঁড়ান বিচারপতি দত্ত। ফলে মামলার শুনানি হয়নি। তার পর থেকে যতবারই শুনানির দিন ঠিক হয়েছে ডিএ মামলার, তত বারই কোনও না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে মামলাটি।

২০২২ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের যুক্তি, হাই কোর্টের সিদ্ধান্ত মেনে ডিএ দিতে হলে প্রায় ৪১ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খরচ হবে। যা রাজ্য সরকারের পক্ষে বহন করা কঠিন। রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের (কনফেডারেশন) আইনজীবী দাবি করেন, বকেয়া ডিএ দিতে হলে রাজ্যের উপর বিশাল অঙ্কের আর্থিক বোঝা চাপবে, এ কথা ঠিক। আবার এ-ও ঠিক যে, ডিএ সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য অধিকার। তা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা যাবে না। শুনানি বার বার পিছিয়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা দীর্ঘতর হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন