প্রতীকী ছবি।
ন’বছর আগে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জমি জটে আটকে সেই প্রকল্পের কাজ এখনও অসম্পূর্ণই থেকে গিয়েছে। সমাধান সূত্র হিসেবে আপাতত আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোনও পথ নেই বলে মনে করছে খোদ
রাজ্য প্রশাসনই।
নবান্নের এক পূর্ত কর্তা জানান বারাসাত থেকে ডালখোলা পর্যন্ত ৪৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ককে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রক চার-লেন করার সিদ্ধান্ত নেয় ২০০৯ সালে। কিন্তু জমির সমস্যা থাকায় অনেক ঠিকাদার সংস্থা কাজ ছেড়ে পালিয়ে যায়। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডালখোলা, বহরমপুর বাইপাস, বারাসাত, বড়জাগুলিতে জমি এবং ঠিকাদার সমস্যা বেশি ছিল। এক বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকার বারাসাত-কৃষ্ণনগর রাস্তার দায়িত্ব রাজ্যের পূর্ত দফতরকে দেয়। রাজ্য সরকারও এখন পর্যন্ত জমি জট ছাড়াতে পারেনি।
বারাসাত থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের দূরত্ব ৮৪ কিলোমিটার। এর মধ্যে নদিয়া জেলায় ৬২ কিলোমিটার এলাকায় রাস্তার জন্য জমি পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় সন্তোষপুর থেকে বড়জাগুলিয়া পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার রাস্তায় জমিদাতারা জমির দাম বেশি চেয়ে মামলা করায় কাজ আটকে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘ আমাদের সরকারের নীতি হচ্ছে জোর করে জমি নেওয়া হবে না। ১৩ জন জমি দাতা জমির দাম বেশি চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন। আমরা কিছু করতে পারছি না। জেলা শাসক বিষয়টি দেখছেন।’’
এই পরিস্থিতি থেকে নিষ্কৃতি পেতে কোর্টের উপর আস্থা রাখছে রাজ্য প্রশাসন। পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, বহরমপুর বাইপাসের জমি নিয়েও জমির মালিকরা মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় মামলা। সম্প্রতি জমির মালিকরা সুপ্রিম কোর্টে হেরেছেন। এ ক্ষেত্রেও আদালত বৃহত্তর স্বার্থের দিকে নজর দিতে পারে বলে মত রাজ্য প্রশাসনের।