ভাইস চেয়ারম্যান অনিল বর্মার নেতৃত্বে ১১ জন সদস্যের উপস্থিতিতে বুধবার স্বাস্থ্যভবনে স্বাস্থ্য কমিশনের প্রথম বৈঠকের পরে জানিয়ে দেওয়া হল— বেসরকারি হাসপাতালে নামমাত্র কিছু বিভাগ রাখলেই চলবে না। জরুরি বিভাগ গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত বিভাগের চিকিৎসা যাতে সন্তোষজনক মানে পৌঁছয়, তার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো গ়়ড়ে তুলতে হবে। রাখতে হবে পর্যাপ্ত কর্মী। হাসপাতালে কোনও চিকিৎসার প্যাকেজ ফি কত হবে, তা ঠিক করে দেবে কমিশনই।
কমিশনের বক্তব্য, জরুরি বিভাগে কেউ এলে তাঁকে বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হবে। স্বাস্থ্য কমিশনে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়লে তা মে়ডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-র কাছে পাঠানো হবে। কেবল বেসরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবা নিয়ে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে তখনই কমিশন সে বিষয়ে তদন্ত করবে।
কমিশন জানিয়েছে, পরিকাঠামো ও শয্যাসংখ্যা অনুযায়ী বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হবে। শ্রেণি অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার একাধিক প্যাকেজ তৈরি হবে। অর্থাৎ, অ্যাপোলো হাসপাতালের প্যাকেজ আর জেলার কোনও ছোট নার্সিংহোমের প্যাকেজ এক হবে না। তবে কোন হাসপাতালের জন্য কী প্যাকেজ হবে, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে কমিশনই।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি টাউন হলে বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা য়। সে দিনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, জরুরি বিভাগ থেকে কোনও রোগীকে ফেরত পাঠানো যাবে না। বিনামূল্যে প্রাথমিক পর্যায়ের চিকিৎসা শুরু করতে হবে। সেই প্রসঙ্গেই বেশ কিছু হাসপাতালের প্যাকেজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রতি মাসে কমিশনের বৈঠকে বসবে। হাসপাতালগুলো কমিশনের নির্দেশ মেনে কাজ করছে কি না, তার উপরে নজর থাকবে। পাশাপাশি ‘স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট প্রোটোকল’ মেনে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে কি না সে সবও আলোচনা হবে বৈঠকে। কমিশনের এক সদস্য জানান, মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের পরে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির একাধিক অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরে জমা পড়েছে। ওই অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাই করে দেখবে স্বাস্থ্য কমিশন।