পৌষমেলা নিয়ে বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
শিশু সুরক্ষা ও অধিকার বিষয়ক জন সচেতনতা গড়ে তুলতে এ বার পৌষ মেলাকে শিশুবান্ধব করার উদ্যোগ নিল মহিলা ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক।
মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা শাসকের দফতরে হয়ে গেল সে নিয়েই একটি বৈঠক। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, পৌষমেলাকে ‘শিশুবান্ধব মেলা’ হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে, ভারত সরকারের ওই মন্ত্রক। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের নির্দেশে ১০ জুন একটি বৈঠক হয়েছিল শান্তিনিকেতনে। সেখানে রাজ্য ও জেলা স্তরের নানা দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন। ছিল পৌষ মেলা আয়োজক শান্তিনিকেতন ট্রাস্টও। ঘণ্টা দুয়েকের আলোচনায় মেলায় শিশু সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় বিস্তর।
এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এ বারের পৌষ মেলায় শিশু বিষয়ক একাধিক স্টল দেওয়া হচ্ছে। যেখানে থাকবে শিশুদের পুষ্টি বৃদ্ধির উপায়, শিশু শ্রমিক রোধে ব্যবস্থা এবং শিশু সুরক্ষা আইন নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কথা। মেলা চত্বরে, আলাদা জায়গা সুনিশ্চিত থাকবে শিশুদের আনন্দ অনুষ্ঠানের জন্য। বৈঠকে ছিলেন সংশ্লিষ্ট কমিশনের সদস্য রূপা কপুর, রাজ্য শিশু সুরক্ষা ও কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী, জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিংহ, অতিরিক্ত জেলা শাসক (উন্নয়ন) রঞ্জন কুমার ঝাঁ, বোলপুরের এসডিপিও অম্লান কুসুম ঘোষ, শান্তিনিকেতন ট্রাস্টির পক্ষে অনিল কোনার ও সবুজকলি সেন বিশ্বভারতীর উপ-কর্মসচিব (সম্পত্তি) অশোক মাহাত, ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সব মহল।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে এ বারের পৌষমেলায় শিশুদের জন্য আলাদা কয়েকটি স্টল থাকবে। যেখান থেকে শিশু বিষয়ক নানা সচেতনতামূলক কর্মসূচি ঘোষণা হবে। দৃশ্য ও শ্রাব্য মাধ্যমে দেখানো হবে শিশু বিষয়ক নানা প্রকল্প। শিশু শ্রমিক রুখতে এবং আইন নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে আলাদা নানা ব্যবস্থা থাকবে। জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক নিরুপম সিংহ বলেন, “পৌষমেলা কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পৌষমেলাকে শিশু বান্ধব মেলা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এ বার।”
মেলা আয়োজকদের অন্যতম শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের অনিল কোনার বলেন, “১২২ বছরের এই গ্রামীণ, হস্ত ও কুটির শিল্পের মেলা আমাদের পরিবেশ বান্ধব। এই বার শিশু বান্ধব করা হচ্ছে, এমন উদ্যোগকে স্বাগত। আমরা সব রকমের সহযোগিতা করব।”