ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় পশ্চিমবঙ্গে ‘দলিত’রা নির্যাতিত এবং সেই কারণেই এ রাজ্যের সরকারকে বরখাস্ত করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করলেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় মুখপাত্র অভিযোগ করলেন বিজয় সোনকার শাস্ত্রী। কলকাতায় দলের রাজ্য দফতরে শুক্রবার তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে দলিতদের অবস্থা হতাশাজনক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে রাজ্যের দিকে দিকে দলিতদের উপর আক্রমণ বেড়েছে। খুন হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।’’ এই প্রেক্ষিতেই তিনি বলেন, ‘‘এ রাজ্যে দ্রুত রাষ্ট্রপতি শাসন জারির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করব।’’
কেন্দ্রীয় দলিত নেতার ২৮ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকেরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘দলিত’দের উপর আক্রমণের অভিযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিজয় জবাব দেন, ‘‘শুধু পশ্চিমবঙ্গ নিয়েই কথা বলতে এসেছি।’’
সম্প্রতি জাতীয় ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য উদ্ধৃত করে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি আমলে প্রত্যেক ১৫ মিনিটে দেশে এক জন দলিত আক্রান্ত হন এবং প্রতিদিন ৬ জন দলিত মহিলা ধর্ষিত হন। অভিযোগ, বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, রাজস্থানের মতো রাজ্যে দলিতদের আক্রান্ত হওয়ার পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। মধ্যপ্রদেশে যা প্রায় ৪৪ শতাংশ।
এ বিষয়ে বার বার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেষ পর্যন্ত অবশ্য কেন্দ্রীয় দলিত নেতা জানান, প্রয়োজনে অন্য রাজ্যগুলির বিষয়েও নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।
এ বার পঞ্চায়েত ভোটে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় তুলনামূলক ভাল ফল করেছে বিজেপি। তাই লোকসভা ভোটের আগে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক আরও সুসংহত করার চেষ্টা করছে তারা। সেই অঙ্কেই গত ২৮ জুন পুরুলিয়ায় সভা করে গিয়েছেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এ দিন ‘দলিত’-প্রশ্নে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজয়। আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আসছেন মেদিনীপুরে। বিজেপি সূত্রের খবর, ওই দিন মোদীর সভার সাজে থাকবে লোকশিল্পের ছোঁয়া। জঙ্গলমহলের লোকশিল্পীদের দল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, দু’টি লোকশিল্পের দলকে মেদিনীপুরে ডাকা হবে। একটি পুরুষদের, অন্যটি মহিলাদের। বিজেপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় বলেন, “লোকশিল্পীদের এক অনুষ্ঠান করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আদিবাসী নৃত্য হবে। লোকশিল্পের দু’টি দল থাকবে।’’