West Bengal government

জনজাতির মহিলাদের শংসাপত্রে জোর রাজ্যে

সরকার লক্ষ্য করেছে জনজাতিভুক্ত মহিলাদের একাংশের জাতি শংসাপত্র না থাকায় তাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে মাসিক ১ হাজার টাকার বদলে ৫০০ টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৫:৫৫
Share:

নবান্ন। —ফাইল চিত্র।

তফসিলি জনজাতিভুক্ত (শিডিউলড ট্রাইব বা এসটি) মহিলাদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার ব্যাপারে আরও তৎপর হওয়ার বার্তা দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের দাবি, ওই জাতিভুক্ত একাংশের শংসাপত্র না থাকার জন্য ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে জাতি শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের। শীর্ষ মহলের নির্দেশ, বর্তমান সময়ের তুলনায় আরও উচ্চ পর্যায়ে আবেদনপত্র যাচাইয়ের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।

Advertisement

প্রসঙ্গত, শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে সরকার’। এ বারের কর্মসূচির বহর তুলনায় বেশ বড়। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করছেন, আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে জাতি শংসাপত্র দেওয়ার উপর জোর দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, এ রাজ্যে তফসিলি জনজাতিভুক্ত মানুষের জনসংখ্যা প্রায় ৬.৫% এবং তাঁরা আটটি লোকসভা এবং ১৬টি বিধানসভার (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে ৩২টি) ফলাফলে প্রভাব ফেলতে সক্ষম।

সূত্রের দাবি, সরকার লক্ষ্য করেছে জনজাতিভুক্ত মহিলাদের একাংশের জাতি শংসাপত্র না থাকায় তাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে মাসিক ১ হাজার টাকার বদলে ৫০০ টাকা করে অনুদান পাচ্ছেন। তাই এ ব্যাপারে অনুদানের পরিমাণ বাড়াতে শংসাপত্র দানে তৎপর হতে চেয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ স্তর। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “এসটি প্রভাবিত এলাকায় দুয়ারে সরকারের শিবির গড়ার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। সেই শিবিরের উপরে জেলা-কর্তাদের বিশেষ নজর থাকছে। সিনিয়র আমলাদের নিয়ে তৈরি পর্যবেক্ষক দলও ওই শিবিরে বিশেষ নজর দেবে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ভুয়ো জাতি শংসাপত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হাই কোর্টে মামলাও হয়েছে। তাই যথাযথ যাচাইয়ের পরে শংসাপত্র দিতে বলেছে নবান্ন। আধিকারিকদের একাংশ জানান, এমন কিছু পদবি রয়েছে, যাঁদের একাধিক জাতিভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সে ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এগুলি চিহ্নিত করে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তার ভিত্তিতে শংসাপত্রের আর্জি মঞ্জুর করা হবে। এ ছাড়াও, শংসাপত্রের সাধারণ বিষয়টি বিডিও স্তরে যাচাই করা হত। প্রয়োজনে তা এসডিও-র কাছে যেত। বর্তমানে যাচাইয়ের যা পরিকল্পনা চলছে তাতে অতিরিক্ত জেলাশাসক পর্যায়ে যাচাই প্রক্রিয়া হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন