Arms

Arms Recover: দুষ্কৃতীদের হাতে কি পৌঁছেছে অস্ত্র, খুঁজছে এসটিএফ

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া কার্বাইন এবং পিস্তলটির কার্যক্ষমতা নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য তৈরি হওয়া অস্ত্রের সমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১ ০৬:১৪
Share:

উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র

এ রাজ্যে কোথায় কোথায় ভাগলপুরের অস্ত্র গিয়েছে তার খোঁজে নেমেছে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, নিউ টাউন থেকে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক-সহ ধৃত জাকির শেখ ও মহম্মদ শাকিল এর আগেও কোথাও অস্ত্র বিক্রি করেছে কিনা, তা দেখা জরুরি। কারণ, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কার্বাইন এবং পিস্তলের গুণমান বেশ ভাল। এই ধরনের অস্ত্র দুষ্কৃতীদের হাতে পৌঁছলে তা পুলিশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে।

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, উদ্ধার হওয়া কার্বাইন এবং পিস্তলটির কার্যক্ষমতা নিরাপত্তাবাহিনীর জন্য তৈরি হওয়া অস্ত্রের সমান। কিন্তু ধৃতদের জেরা করে যে দাম জানা গিয়েছে তা বাহিনীর আগ্নেয়াস্ত্রের প্রায় অর্ধেক। তাই কম দামে এই অস্ত্র দুষ্কৃতীরা কিনতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

ধৃত জাকির বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা। শাকিলের বাড়ি মেটিয়াবুরুজে। এ রাজ্যে শাকিলের সূত্রেই জাকির অস্ত্র পাচার করত বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাই কোন কোন এলাকার দুষ্কৃতীদের সঙ্গে শাকিলের যোগ রয়েছে তা খোঁজা হচ্ছে। মোবাইলের কল লিস্টের সূত্র ধরে কয়েক জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এই মামলায় নতুন করে কোনও গ্রেফতারের খবর মেলেনি।

এসটিএফ সূত্রের দাবি, এই অস্ত্র পাচারের সঙ্গে এখনও কোনও জঙ্গি সংশ্রব মেলেনি। তবে গত কয়েক বছরে কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে একাধিক জঙ্গি ডেরার হদিস মিলেছে। তাই জঙ্গি সংশ্রবের বিষয়টি একেবারে উড়িয়েও দিচ্ছেন না গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি এই অস্ত্র পাচারে আর কে কে জড়িত তাও খোঁজা হচ্ছে। সে ব্যাপারে দফায় দফায় জাকির এবং শাকিলকে জেরাও চলছে।

Advertisement

শুক্রবার বারাসত আদালত ধৃত দু’জনকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। গোয়েন্দাদের আশা, হেফাজতে থাকাকালীন জেরায় জাকির এবং শাকিল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উগরে দেবে। সেই সূত্র ধরেই এই চক্রের শিকড়ে পৌঁছনো যেতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন