রাজসাক্ষী হতে পারে ধনেখালির সেই ছাত্র

ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম ধৃত, হুগলির আশিক আহমেদকে রাজসাক্ষী করতে চায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পলিটেকনিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র আশিক বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গি সন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রথম ধৃত, হুগলির আশিক আহমেদকে রাজসাক্ষী করতে চায় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। পলিটেকনিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র আশিক বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে বলে এনআইএ সূত্রের খবর।

Advertisement

ধনেখালির বাসিন্দা, কাঁকসার একটি বেসরকারি পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র আশিক এখন জামিনে মুক্ত। সম্প্রতি দিল্লির এনআইএ আদালতে আশিকের হয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। এনআইএ তথা সরকার পক্ষ জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করেনি। তার পরেই বিচারক তাকে জামিন দেন।

আশিককে ১৬ মার্চ গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হেফাজতে প্রায় এক মাস থাকার পর তিহাড় জেলে ছিল আশিক। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, জামিনে মুক্ত হওয়ার পর আশিক প্রথমে তার ধনেখালির বাড়িতে আসে। তার পর সে চলে গিয়েছে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। শনিবার আশিকের বাবা গোলাম রসুল খান বলেন, ‘‘ছেলে জামিনে ছাড়া পেয়ে ফিরে আসার পর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ওকে রেখেছি। মানসিক ভাবে ওর একটু সুস্থির হওয়া দরকার।’’

Advertisement

এনআইএ-র এক কর্তা বলেন, ‘‘জমিনে ছাড়া পেলেও আশিকের উপর আমাদের নজরদারি রয়েছে। তা ছাড়া, এখন ওর নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের কাছে জরুরি। মামলায় ওর কাছ থেকে সাহায্য মিলবে।’’ ওই অফিসারের বক্তব্য, ‘‘আশিক ফের পড়াশোনা করতে চাইলে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।’’ তবে কাঁকসার ওই পলিটেকনিক কলেজ কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ দিন জানানো হয়েছে, আশিককে ফের ক্লাস করতে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। আশিকের বাবা অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে আর ওই কলেজে পড়বে না। কিছু দিন পরে সে অন্য শাখায় পড়াশোনা শুরু করবে।

তদন্তে জানা যায়, সিরিয়ায় থাকা আইএস় চাঁইদের নির্দেশে ভারতে ওই সংগঠনের একটি শাখা তৈরি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত যার একাধিক পাণ্ডার সঙ্গে আশিকের যোগাযোগ হয়েছিল। এদের এক জন হল, মুম্বইয়ের মুদাব্বির মুশতাক শেখ ও অন্য জন হায়দরাবাদের মহম্মদ না‌ফিস খান। এর মধ্যে নাফিস খান এই রাজ্যে এসে কাঁকসায় আশিকের মেসে এক রাত কাটিয়েও যায়। প্রাথমিক ভাবে আইএস-এর নামে পশ্চিমবঙ্গে কিছু হিংসাত্মক কাজকর্ম করতে বলে যায় নাফিস। এর মধ্যে এক বিধায়ককে খুনের ছকও ছিল।

তবে এ বছর জানুয়ারি মাসে আইএসের ভারতীয় শাখার পাণ্ডারা ধরা পড়ে যায়। নাফিসের কাছ থেকে আশিকের হদিস মেলে। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, আশিক গোড়া থেকেই জানিয়েছিল, সে ভুলবশত ওই সব কাজ করে ফেলেছে এবং সে জন্য সে অনুতপ্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন