প্রতীকী ছবি।
নিশানা তাক করে ঝরাপাতার জঙ্গলে গাছের উপর বসে ছিলেন দু’জন। সঙ্গে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়ার বন্দুক। কাছেই শোনা যাচ্ছিল গর্জন। কিন্তু লক্ষ্যভেদের সুযোগ আসেনি। এক দল শিকারির হইচইয়ে পালিয়ে যায় ডোরাকাটা। আফসোস যাচ্ছে না সুন্দরবন থেকে আসা দলের (ট্র্যাঙ্কুলাইজেশন টিম) দুই সদস্যের। কারণ, রবিবার গোয়ালতোড়ের নয়াবসতের মহারাজপুর জঙ্গলে যে-সুযোগ এসেছিল, তা আবার কবে আসবে, কে জানে!
মহারাজপুরের অদূরে কাদরা ও হামারগেড়্যার জঙ্গল। পায়ের ছাপ-সহ কয়েকটি দিক খতিয়ে দেখে বনকর্তারা নিশ্চিত হন, বাঘটি নয়াবসতে রয়েছে। লালগড় থেকে ট্র্যাঙ্কুলাইজেশন টিমের চার সদস্য মহারাজপুর জঙ্গলে পৌঁছন। দলের এক সদস্য বলেন, “আমরা দু’জন গাছে উঠেছিলাম। দুপুরে বাঘের গর্জন শুনে আরও নিশ্চিত হই যে বাঘ এখানেই রয়েছে। মনে হয়েছিল, আজ অপারেশন সাকসেসফুল হবেই।” জঙ্গলের এই অংশে প্রচুর হরিণ রয়েছে। একটি জলাশয়ের কাছে পায়ের ছাপ মিলেছিল। রবিবার ওই জলাশয়ের পাশেই একটি গাছের উপর থেকে বাঘের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন বন দফতরের ওই দুই কর্মী। তাঁদেরই একজনের কথায়, ‘‘আমাদের নজর ছিল ওই জলাশয়ের দিকে। কারণ, বাঘকে জল খেতে ওখানে আসতেই হত। কিন্তু একদল শিকারিই সব কিছু ভেস্তে দিল।” রবিবার দুপুরে কুশকাঠির বেশ কয়েকজন দলবেঁধে মহারাজপুর পেরিয়ে কাদরার জঙ্গলে শিকার করতে গিয়েছিলেন। বিকেলে বাঘের হানায় জখমও হন জয়রাম সরেন নামে এক ব্যক্তি। বন দফতরের খবর, সুন্দরবন আর জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি এক নয়। এখানে বাঘের অবস্থান চিহ্নিত করাই কঠিন। মহারাজপুরে সেই কাজটাই ভাল ভাবে হয়েছিল। সুতরাং ফের শুরু অপেক্ষা।