West Bengal Minorities Commission

রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনে এ বার বাড়তি পদ তৈরি করছে সরকার, বিল পাশ হয়ে গেল বিধানসভায়

এত দিন পর্যন্ত রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনে এক জনই ভাইস-চেয়ারপার্সন থাকতেন। শুক্রবার পাশ হওয়া বিলটিতে আইন সংশোধন করে দু’জন ভাইস-চেয়ারপার্সন রাখার সংস্থান রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৫ ১৭:১৭
Share:

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা। ফাইল চিত্র।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটিজ় কমিশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৫’। এতদিন পর্যন্ত রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনে এক জনই ভাইস-চেয়ারপার্সন থাকতেন। এর পর থেকে দু’জন ভাইস-চেয়ারপার্সন রাখার সংস্থান এনে সংশোধনী বিল পাশ হল রাজ্য বিধানসভায়।

Advertisement

রাজ্য বিধানসভায় শুক্রবার বিলটি পেশ করেন বিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিলের উপর আলোচনায় অংশ নেন নওশাদ সিদ্দিকি, মহম্মদ আলি, হুমায়ুন কবীর, শঙ্কর ঘোষ-সহ বিরোধী বিধায়কেরাও। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ তাঁর বক্তৃতায় সংখ্যালঘু কমিশনের একধিক পদের প্রয়োজনীতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিভিন্ন উদাহরণ দিয়ে রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

অন্য দিকে, তৃণমূল বিধায়ক মহম্মদ আলি এই বিলকে সমর্থন জানিয়ে সংখ্যালঘু কমিশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন ও দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান নিয়োগকে সমর্থন জানান। তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন এবং রহিমা বিবিও সংশোধনী বিলকে সমর্থন জানান। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ প্রস্তাব দেন, কোনও ‘পরিচিত ব্যক্তিত্ব’ (পাবলিক ফিগার)-কে এক জন ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ হোক। যিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী নন। তিনি বলেন, ‘‘লোভের কোনও ধর্ম হয় না। সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। শিক্ষার জায়গাটা আমাদের দেখতে হবে, কোনও জায়গায় ত্রুটি নেই তো।’’

Advertisement

মন্ত্রী চন্দ্রিমা জবাবি বক্তৃতায় বলেন, ‘‘ভাইস চেয়ারপার্সনের একটি বাড়তি পদের অনুমোদন চাইতে বিলটি আনা হয়েছে। এই আইনে ছ’টি ‘রিলিজিয়াস কমিউনিটি’ আছে, মুসলিম, খ্রিস্টান,পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ। সংবিধান বলেছে, কোনও সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভেদাভেদ নয়। এই বিলে ন’জন সদস্য, এক জন চেয়ারপার্সন, দু’জন ভাইস চেয়ারপার্সন করার কথা বলা হয়েছে। এখানে অনেক ভিজিট হয়েছে। কাজের পরিধি বেড়েছে। তাই একটি পদ বাড়ানো হয়েছে। এই কমিশন সংবিধানসম্মত ভাবে করা হয়েছে।’’ তিনি জানান, এই কমিশনের চেয়ারপার্সনের ভাতা (রেমুনারেশন) থাকলেও ভাইস চেয়ারপার্সনদের কোনও ভাতা নেই। কেবল ‘বৈঠক অনুদান’ ১০০০ টাকা দেওয়া হয়।

এই প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সময় ছবিতে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটিজ় কমিশন’-এর বদলে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটিজ় ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিনান্স কর্পোরেশন’-এর ছবি ছিল। যা একটি পৃথক সংস্থা। এই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement