বাড়ির নীচে প্রকাশ্যে মদ্যপানের প্রতিবাদ করে প্রহৃত হলেন এক যুবক। মঙ্গলবার রাতে মধ্যমগ্রামের আনন্দলোকে আক্রান্ত শুভদীপ গুহ নামে ওই যুবক পরিচিত নাট্যকর্মী।
পুলিশ জানায়, রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি ফিরে শুভদীপ দেখেন, তাঁর বাড়ির নীচে মদ্যপান করছে কিছু যুবক। নিজেদের মধ্যে মারপিট, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও চলছে। পরিবারের অভিযোগ, শুভদীপ ওই মত্ত যুবকদের সরে যেতে বললে বচসা বাধে। তার জেরেই বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হয় তাঁকে। শুভদীপের দাঁত ভেঙে রক্ত বেরোতে থাকে। পরিবার ও আশপাশের লোকজন ছুটে এলে ওই যুবকেরা পালিয়ে যায়। শুভদীপকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে আর জি করে ভর্তি করা হয়। বুধবার ছাড়া পেলেও কথা বলার অবস্থায় নেই তিনি।
রাতেই মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হলে স্থানীয় শ্রীনগর এলাকার বাসিন্দা চার অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ রায়, সুজন দে, রাহুল চৌধুরী ও অনিমেষ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েই চার জনকে ধরা হয়েছে। বুধবার বারাসত আদালতে ধৃতদের দু’দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।’’
নাট্যকার ব্রাত্য বসুর দল ‘ব্রাত্যজন’-এ অভিনয় করেন শুভদীপ। মঙ্গলবারও দলের নাটকে অভিনয় সেরেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। শুভদীপের প্রহৃত হওয়ার খবর পেয়ে বুধবার বিকেলে তাঁর মধ্যমগ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্রাত্যবাবু। তিনি বলেন, ‘‘ও এখন অনেকটা সুস্থ। তবে এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়। যদিও পুলিশ সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছে। অভিযুক্তেরা ধরাও পড়েছে।’’
এ দিন শুভদীপের বাবা, নাট্যকার প্রবীর গুহ বলেন, ‘‘প্রায়ই মত্তদের উপদ্রব ঘটে। এলাকায় থাকা মুশকিল হয়ে পড়েছে। কালীপুজোর মতো অনুষ্ঠানের সময় তা মাত্রাছাড়া চেহারা নেয়।’’ কী ভাবে এমন ঘটল, তার জবাবে মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা পুর-চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। তবে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশকে জানাই। অপরাধীরা গ্রেফতারও হয়েছে।’’