সমাবর্তনে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। কল্যাণীতে। ছবি: প্রণব দেবনাথ
বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তন হয়ে গেল মঙ্গলবার। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এ দিনের দীক্ষান্ত বক্তৃতা করেন তিনি। সমাবর্তনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। প্রণববাবু তাঁর বক্তৃতায় জানান, কৃষিতে দেশের অগ্রগতি হলেও এতগুলি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার পরেও কৃষি উৎপাদন, সেচ ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এখনও খামতি রয়েছে। এখনও শস্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার মধ্যে গলদ রয়েছে বলে তিনি জানান।
এ ছাড়াও স্বাধীনতার পরে ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি জানান, যে সব ভারতীয়রা নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তাঁরা ‘সকলেই’ গবেষণা করেছেন বিদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের। অথচ এ দেশেই এক সময় তক্ষশীলা, নালান্দার মতো বিশ্ববিখ্যাত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। এখনই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে গুণগত গবেষণার কাজে ঝুঁকতে হবে বলে জানান প্রণববাবু। পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘তাঁর সময়ে ময়ূরাক্ষী ও কংসাবতী প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। এর ফলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ হয়।’’
রাজ্যপাল তাঁর বক্তৃতায় চাষিদের স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আরও বেশি করে গবেষণামুখী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন কী ভাবে বাড়ানো যায় তা চাষিদের জানা প্রয়োজন।’’ সে জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার কথা বলেন তিনি। সমাবর্তেন ভারতের পারমাণবিক কমিশনের চেয়ারম্যান শেখর বসু এবং ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের মহানির্দেশক ত্রিলোচন মহাপাত্রকে সাম্মানিক ডক্টর অব সায়েন্স (ডিএসসি) দেওয়া হয়। ৪৮০ জন পড়ুয়াকে এ দিন ডিগ্রি দেওয়া হয়।