প্রতীকী ছবি।
অভিযোগ উঠেছে, বিচার ব্যবস্থাকে অপমান করা হয়েছে ছবিটিতে। ফাঁসিতে ঝোলানো এক ব্যক্তির জীবন নিয়ে তৈরি সেই ছবি প্রদর্শনের উপরে অন্তর্বর্তিকালীন কোনও স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট।
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ১৩ বছর আগে ফাঁসি হওয়া এক ব্যক্তির জীবন নিয়ে তৈরি ওই ছবি দেখানোর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন জানিয়ে মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। বুধবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলার সঙ্গে যুক্ত সব পক্ষকে হলফনামা পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। মামলার নিষ্পত্তির আগে পর্যন্ত ওই ছবি প্রদর্শনের উপরে অন্তর্বর্তিকালীন স্থগিতাদেশ জারির আবেদন জানান আবেদনকারীর আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। ডিভিশন বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেনি।
এ দিন মামলার শুনানিতে ওই ছবির পরিচালকের কৌঁসুলি অভ্রজিৎ মিত্র জানান, ছবিটি দেখানোয় ফাঁসিতে ঝোলানো ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কোনও ভাবেই মানহানি হয়নি। বিচার ব্যবস্থার অবমাননাও হয়নি। কেননা শুরুতেই পরিচালক জানিয়ে দিয়েছেন, ছবির সব চরিত্র কাল্পনিক। কিন্তু আবেদনকারীর কৌঁসুলির বক্তব্য, ‘কাল্পনিক’ বলা হলেও ফাঁসিতে ঝোলানো ব্যক্তির ছবি, তাঁর পরিবারের সদস্যদের ছবি-সহ পরিচয় সবই দেখানো হয়েছে। কেন্দ্রের সেন্সর বোর্ডের কৌঁসুলি কুমারজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে জানান, ওই ছবির কয়েকটি দৃশ্যে খারাপ ভাষায় সংলাপ ছিল। বোর্ড ছবি প্রদর্শনের ছাড়পত্র দেওয়ার আগেই সেগুলো বাদ দিয়ে দেয়।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, পুজোর ছুটির পরে আদালত খুললে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।