West Bengal BJP

ব্যতিক্রম রেখেই রদবদল হতে পারে বিজেপির রাজ্য কমিটিতে

দলের এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠ শিবিরের মতে, সংগঠন ও নির্বাচনকে আলাদা রাখার নীতি নিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল।

বিপ্রর্ষি চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:২৫
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দুয়ারে বিধানসভা ভোট। দলের নতুন রাজ্য সভাপতি ঘোষণা হয়েছে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় আগে। কিন্তু এখনও বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি গঠন হয়নি। রাজ্য বিজেপি সূত্রে দাবি, সব ঠিক থাকলে নতুন বছরের মুখেই কমিটি ঘোষণা হতে পারে। কমিটিতে রদবদলের সংখ্যা, তাতে কোন নীতি নেওয়া হবে এবং তার মধ্যেও ব্যতিক্রমের সম্ভাবনা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা রয়েছে।

দলের এক প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠ শিবিরের মতে, সংগঠন ও নির্বাচনকে আলাদা রাখার নীতি নিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুনীল বনসল। ফলে ভোটে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নতুন কমিটিতে থাকার কথা নয়। ওই শিবিরের একাংশের দাবি, এই নীতিতে বদল হলেও মূল সাংগঠনিক কাঠামোয় আগের কমিটির লোকই বেশি থাকবেন। যদিও বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিবিরের একাংশের দাবি, বর্তমান রাজ্য কমিটি নিয়ে ‘খুশি নন’ বনসল। ফলে ব্যাপক রদবদল আসন্ন। তবে যাবতীয় নীতির মধ্যেও ব্যতিক্রম হিসাবে, বর্তমান এক সাধারণ সম্পাদক, যিনি নতুন কমিটিতেও ভিন্ন পদে থাকতে পারেন, আবার বীরভূমে ভোটেও লড়তে পারেন। চার বছর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা, সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠতা ও দফতর চালানোর নির্ভরযোগ্যতার কারণেই এমনটা হতে পারে বলে দাবি। যদিও জল্পনায় আমল না দিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “যে ভাবে নতুন রাজ্য সভাপতি হয়েছে, সে ভাবেই নতুন রাজ্য কমিটিও হবে। তবে বিজেপির রাজ্য কমিটি নিয়ে কৌতূহল প্রমাণ করছে, আমরাই এক মাত্র প্রাসঙ্গিক দল!”

বিজেপির অন্দরে চর্চা, সংগঠন পরিচালনার জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ সম্পাদক (যা সর্বোচ্চ পাঁচ জন হতে পারেন) হিসাবে রাঢ়বঙ্গের এক তরুণ সাংসদের থাকাটা কার্যত নিশ্চিত, যিনি বর্তমান কমিটিতেও আছেন। বাকি চারটির মধ্যে দু’টিতে মহিলা প্রতিনিধি থাকাটাই রীতি। সেটা মেনে বর্তমান কমিটির এক সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদের আবার ঠাঁই হতে পারে। আর একটি ক্ষেত্রে অতীতে এই পদে থাকা উত্তরবঙ্গের এক প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর নাম আলোচনায় রয়েছে বলে দাবি। বাকি দু’টি পদে অন্তত এক জন উত্তরবঙ্গের প্রতিনিধি থাকবেন। সে ক্ষেত্রে মুকুল রায়ের হাত ধরে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক নেতা এবং উত্তরবঙ্গের এক প্রাক্তন জেলা সভাপতির নাম নিয়ে জল্পনা রয়েছে। সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উত্তরবঙ্গের এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান এক সাংসদের নাম প্রস্তাব করেছেন, যাঁরা তৃণমূল থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন। চর্চা রয়েছে এক জনজাতি সাংসদ, যিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিজেপির দলীয় সচেতকের ভূমিকা সামলেছেন, তাঁর নাম নিয়েও। অন্য পদটি সম্পূর্ণ ভাবে কলকাতা-কেন্দ্রিক দক্ষিণবঙ্গের প্রাপ্য। সেখানে শমীক-ঘনিষ্ঠ একদা দলীয় শাস্তি পাওয়া কোনও নেতা থাকেন কি না, সে দিকে নজর রয়েছে।

বর্তমান সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে প্রায় সকলেই নির্বাচনী যুদ্ধে নামবেন। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের দুই পরিচিত বিধায়ককে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। সে ভাবেই সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন আরও পাঁচ বিধায়ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন