অমিতকে খাওয়ানোর পর উঠোন মেরামতিতে দিন গেল গীতাদের

২৪ ঘণ্টা আগে উঠোনে হাজির ছিলেন ভিভিআইপি। গমগম করছিল বাড়ি। কিন্তু সেই আয়োজনের ঠেলা সামলাতে এ দিন, বুধবার দুপুরে উনুনই জ্বলল না নকশালবাড়ির দক্ষিণ কোটিয়াজোতের মাহালি পরিবারে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৪৬
Share:

তৎপর: ‘অতিথি’ বিদায়ের পরে উঠোন সারাতে ব্যস্ত নকশালবাড়ির মাহালি পরিবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

২৪ ঘণ্টা আগে উঠোনে হাজির ছিলেন ভিভিআইপি। গমগম করছিল বাড়ি। কিন্তু সেই আয়োজনের ঠেলা সামলাতে এ দিন, বুধবার দুপুরে উনুনই জ্বলল না নকশালবাড়ির দক্ষিণ কোটিয়াজোতের মাহালি পরিবারে। ধসে যাওয়া বারান্দায় মাটি দেওয়া এবং হেলে যাওয়া বেড়া সোজা করতেই দিন কেটে গেল রাজু ও গীতার। দু’জনের কেউই এ দিন কাজে যেতে পারেননি। আগের দিনের থেকে যাওয়া ডাল-ভাতেই দুপুরের খাওয়া সেরেছেন। রংমিস্ত্রি রাজুর কথায়, ‘‘দু’দিন কাজে যেতে পারিনি। ঘরে বাজারও নেই।’’

Advertisement

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের জন্য রান্না করেছিলেন গীতা। এলাকার ছোট এক বাগানে চা পাতা তোলেন তিনি। কিন্তু দু’দিন ধরে গীতা কাজে যেতে পারেননি। দুপুর রোদে বাড়ির পাশের মাঠ থেকে মাটি কেটে এনে জলে গুলে বারান্দায় লেপেছেন। ওই বারান্দাতেই মঙ্গলবার দুপুরে অমিত শাহ, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং জেলা সভাপতি-ব্লক সভাপতিরা বসে কলাপাতায় দুপুরের খাওয়া সেরেছেন।

ভিভিআইপিদের খাওয়া দেখতে বাড়িতে উপচে পড়েছিল ভিড়। সংবাদমাধ্যম থেকে নিরাপত্তাকর্মী, উৎসুক বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হুড়োহুড়িতে বারান্দার মাটি ধসে গিয়েছে। রান্নাঘরের বেড়ার দেওয়াল ভঙে গিয়েছে। অজস্র ফুটো ঘরের দেওয়ালেও। গীতা দেবীর কথায়, ‘‘বেড়া ঠিক করতে
অনেক খরচ হবে। কী করে কুলোবে জানি না।’’ গত সোমবার থেকে দফায় দফায় নিরাপত্তাকর্মীরা বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন। বারবার ঘুরে গিয়েছেন কোনও না কোনও নেতা। বুধবার অবশ্য মাহালি বাড়িতে সব সুনসান। কিন্তু গীতা দেবীর আক্ষেপ, ‘‘ভাঙা বাড়ি ঘর মেরামতির কী হবে, সে খোঁজটা অন্তত কেউ নিতে পারত!’’

Advertisement

এ দিকে দক্ষিণ কোটিয়াজোত কিন্তু টানাপড়েনের মধ্যে চলে এসেছে। সোমবার এখানে বুথ কমিটির বৈঠক করবে তৃণমূল। বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য সাধনা মণ্ডলের বাড়িতে বিজেপির বুথ কমিটির নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর বাড়ির উল্টো দিকে সুশীল দাসের বাড়িতে তৃণমূলের বুথ কমিটির সভা হওয়ার কথা। নতুন এই টক্করে আবার তপ্ত নকশালবাড়ি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন