প্রাক্তন সাংসদ, বর্তমানে বিহারের সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁর কিছু ভিডিও ফুটেজ বাজারে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কলকাতা থেকে কেউ এসএমএস করেছিল। বলা হয়েছিল, কোটি টাকা রেডি রাখতে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে, কলকাতা পুলিশের একটি দল সম্প্রতি মুচিপাড়া থানা এলাকার একটি লজে অভিযান চালায়। লজের একটি ঘর থেকে একটি ল্যাপটপ এবং কয়েকটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে। সেই ঘরে অবশ্য কেউ ছিলেন না। পুলিশের দাবি, ওই ল্যাপটপে থাকা কিছু ফুটেজ দেখে এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে তাদের মনে হয়েছে, বাজেয়াপ্ত মোবাইলগুলিরই একটি থেকে প্রাক্তন সাংসদ দেবেন্দ্রপ্রসাদ যাদবকে হুমকি মেসেজ পাঠানো হয়েছিল।
বিক্রম সিংহ নামে এক ব্যক্তি ওই লজের ঘরটি বুক করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। যদিও যে পরিচয়পত্র জমা দেওয়া হয়েছিল, সেটি নকল বলেই তাদের ধারণা। ফলে কে বা কারা প্রাক্তন সাংসদকে হুমকি এবং তোলাবাজির চেষ্টায় যুক্ত, তা এ দিন জানাতে পারেনি পুলিশ। এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ল্যাপটপে থাকা কিছু ছবি দেখায় তারা। কিন্তু সেই ছবির সঙ্গে দেবেন্দ্র যাদবকে হুমকি দেওয়ার বা লজের ঘর বুক করা ব্যক্তির কোনও সম্পর্ক আছে কিনা তা-ও জানাতে পারেনি। কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) অখিলেশ কুমার চতুর্বেদী শুধু বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। এখন এর থেকে বেশি কিছু বলা যাবে না।’’
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, তদন্ত চলাকালীন কোনও তথ্যপ্রমাণ এ ভাবে পুলিশ ফাঁস করে দিতে পারে কি? এর আগে ইডি-র অফিসার মনোজ কুমার ও রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রার সাক্ষাতের ভিডিও ফুটেজও সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। তখনও এই একই প্রশ্ন ওঠে।
দেবেন্দ্র যাদবকে এ দিন ফোনে ধরা হলে তিনি জানান, তাঁর মোবাইলে এসএমএস করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি কলকাতা পুলিশকে জানিয়েছেন।