Haltu Incident

স্বামী, স্ত্রী, শিশুসন্তানের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার কসবার হালতুতে! ট্যাংরার পর আবার এক মৃত্যুরহস্য

একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার! আবার কলকাতায় তিন জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে। মঙ্গলবার কসবার হালতুর একটি বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী এবং পুত্রের দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২৫ ১৩:১৮
Share:

হালতুর এই বাড়ি থেকেই তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

একই পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার! আবার কলকাতায় তিন জনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বাঁধছে। মঙ্গলবার কসবার হালতুর একটি বাড়ি থেকে স্বামী, স্ত্রী এবং তাঁদের আড়াই বছরের পুত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার হালতুর পূর্বপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে সপরিবার থাকতেন ৪০ বছর বয়সি সোমনাথ রায়। তিনি পেশায় অটোচালক। সোমনাথ ছাড়াও ওই বাড়িতে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুমিত্রা (৩৫) এবং আড়াই বছরের পুত্র রুদ্রনীল। মঙ্গলবার এই তিন জনকেই ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় নিজেদের বাড়িতে।

ঘটনার খবর পেয়ে হালতুর বাড়িতে পৌঁছোয় কসবা থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। মৃতদের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে। যদিও সেই নোটে কী লেখা আছে তা এখনও জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, সোমনাথ আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সেই চাপ থেকেই পরিবারকে নিয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করেন। যদিও এই মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অন্যদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। কথা বলছেন স্থানীয়দের সঙ্গেও। এক আত্মীয়ের দাবি, এক আত্মীয়ের সঙ্গে সোমনাথদের সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এই মৃত্যুর নেপথ্যে সেই অশান্তির কারণও রয়েছে কি না, তা-ও দেখছে পুলিশ।

Advertisement

ট্যাংরাকাণ্ডের পর কলকাতায় আবার একই পরিবারের তিন জনের দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ট্যাংরার অটল শূর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি মৃতদেহ। দে পরিবারের দুই বধূ রোমি, সুদেষ্ণা এবং কিশোরী প্রিয়ম্বদাকে খুন করা হয়েছে বলে জানা যায় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে। ওই দিনই ভোরে বাইপাসের ধারে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। তাতে ছিলেন দে পরিবারের দুই ভাই প্রণয়, প্রসূন এবং প্রতীপ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে প্রসূনই তিন জনকে খুন করেছেন। সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement