WBSSC

ভুয়ো নথি চিহ্নিত করতে এসএসসি সক্রিয়, তিন দফায় হবে চাকরিপ্রার্থীদের ‘ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন’

ভুয়ো নথি বা ‌শংসাপত্র দিয়ে দিয়ে কোন‌ও চাকরিপ্রার্থী আবেদন করছেন কি না, তা তিন দফা পরীক্ষায় চিহ্নিত করা যাবে বলেই মনে করছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০২৫ ১৬:৪৩
Share:

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ বার চাকরিপ্রার্থীদের শংসাপত্র এবং নথি পরীক্ষায় (ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন) বাড়তি সতর্ক স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) কর্তৃপক্ষ। সংস্থার একটি সূত্র জানাচ্ছে, আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের তিনটি পর্যায় ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

ওই সূত্র জানিয়েছে, অনলাইনে যখন আবেদন আসবে সেই সময় প্রথম পর্যায়ের নথি পরীক্ষার কাজ হবে। ইন্টারভিউ হওয়ার সময় হবে দ্বিতীয় বার। কাউন্সেলিং-এর সময় তৃতীয় পর্যায়ের ‘ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন’ করবেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। কোন‌ও ভুয়ো নথি বা ‌শংসাপত্র দিয়ে দিয়ে কোন‌ও চাকরিপ্রার্থী আবেদন করছেন কি না, তা তিন দফা পরীক্ষায় চিহ্নিত করা যাবে বলেই মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি এসএসসি আধিকারিকদের ডকুমেন্টস সংক্রান্ত কোন‌ও তথ্য নজর এড়িয়ে গেল কি না, তা জানাও এই তিন পর্যায়ের নজরদারি অন্যতম অঙ্গ। এ ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে ভুয়ো ‘কাস্ট সার্টিফিকেট’ (জাতিগত শংসাপত্র) নিয়েও। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মধ‍্যরাতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগে নতুন বিধি প্রকাশিত হয়েছে গেজ়েট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। নয়া বিধি অনুসারে, জোর দেওয়া হয়েছে শিক্ষকতার পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং ক্লাস নেওয়ার দক্ষতার উপরে।

Advertisement

লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ৬০ নম্বরের। আগে এটি ছিল ৫৫ নম্বরের। শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরে থাকবে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। আগে এটি ছিল ৩৫ নম্বর। ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে নম্বর আগেও সর্বোচ্চ ১০ ছিল, এখনও তা-ই রাখা হয়েছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার উপর দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ নম্বর। এ ছাড়া ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’-এর জন্যও সর্বোচ্চ ১০ নম্বর রাখা হচ্ছে। শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা এবং ‘লেকচার ডেমোস্ট্রেশন’— দু’টিই নতুন সংযোজিত হয়েছে। এই দু’টি মিলিয়ে সর্বোচ্চ মোট ২০ নম্বর রাখা হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারির হিসাবে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত নিয়োগের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন চাকরিপ্রার্থীরা।

এ ছাড়া, তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্য অনগ্রসর শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুসারে বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় পাবেন। বিধি অনুসারে, মেধাতালিকা (প্যানেল) এবং অপেক্ষমাণ মেধাতালিকা (ওয়েটিং লিস্ট)-র মেয়াদ থাকবে প্রথম কাউন্সেলিংয়ের পর থেকে এক বছর পর্যন্ত। তবে রাজ্য সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে সেগুলির মেয়াদ আরও ছ’মাস বৃদ্ধি করতে পারবে কমিশন। নতুন পরীক্ষাবিধিতে বলা হয়েছে, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দু’বছর লিখিত পরীক্ষার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করতে হবে। তার পরে সেগুলি নষ্ট করা যেতে পারে। তবে ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি প্যানেলের মেয়াদ শেষের পর ১০ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement