Durgapur Rape Case

দুর্গাপুরকাণ্ড: জেলে গিয়ে টিআই প্যারেডে অংশ নিলেন ‘ধর্ষিতা’, পাঁচ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে এলেন মুখোমুখি দাঁড়িয়ে

দুর্গাপুরকাণ্ডের তদন্তে সম্পন্ন হল টিআই (টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন) প্যারেড প্রক্রিয়া। শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা উপ-সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ‘নির্যাতিতা’কে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ২০:২৫
Share:

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

দুর্গাপুরকাণ্ডের তদন্তে সম্পন্ন হল টিআই (টেস্ট আইডেন্টিফিকেশন) প্যারেড প্রক্রিয়া। শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা উপ-সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হয় ‘নির্যাতিতা’কে। সেখানে তাঁর মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছিল অনেককে। জেল সূত্রে খবর, তাঁদের মধ্যে থেকে পাঁচ অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন ‘নির্যাতিতা’।

Advertisement

শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ ‘নির্যাতিতা’ ডাক্তারি ছাত্রীকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল টিআই প্যারেডের জন্য। সেখানে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা বিচারক রাজীব সরকার এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও)। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া চলে। বিচারকের তত্ত্বাবধানেই টিআই প্যারেড সম্পন্ন হয়।

‘নির্যাতিতা’র আইনজীবী পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের আনা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আনা হয়েছিল আরও অনেককে। টিআই প্যারেডে তাদের সকলের মধ্যে থেকে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। তবে তদন্ত যে দিকে যাচ্ছে, সবই ঠিক আছে। আমিও ব্যক্তিগত ভাবে নজর রাখছি। সহপাঠীকে তো আর আলাদা করে চিহ্নিত করার কিছু হয়নি। তাই তাকে আনা হয়নি। বাকি পাঁচ জনকে আনা হয়েছিল।’’

Advertisement

গত ১০ অক্টোবর রাতে সহপাঠী ছাত্রের সঙ্গে কলেজ ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে ডাক্তারি ছাত্রী নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে মেডিক্যাল কলেজ লাগোয়া গ্রামের পাঁচ যুবককে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তরুণীর সহপাঠীকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, নির্যাতিতা ছাত্রী, তাঁর সহপাঠী ছাত্র এবং অন্য ধৃতদের বয়ানের মধ্যে এখনও কিছু ফারাক রয়েছে। ঘটনার রাতে ‘নির্যাতিতা’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যে বয়ান দেন এবং ভোরে পুলিশের কাছে যে বয়ান দেন, তার মধ্যেও কিছু ফারাক রয়েছে বলে দাবি। পর দিন ‘নির্যাতিতা’র বাবা পুলিশের কাছে যে লিখিত অভিযোগ করেন, সেটির বয়ানও কিছুটা আলাদা। আবার, সহপাঠী ছাত্রকে নানা সময়ে জেরা করে অসঙ্গতি মিলেছে বলেও দাবি। তদন্তকারীদের সূত্রের খবর, এ সব কারণে, তদন্তে ধোঁয়াশা কাটাতে প্রযুক্তিগত নানা তথ্য এবং রিপোর্টে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement