কুলে যাব না, বায়না করে বুবাই। কখনও বলে পেট ব্যথা, কখনও বলে, ‘‘ভাল্লাগছে না, আজ যাব না।’’ কয়েকবার বাবা-মা হার মেনে স্কুলে পাঠাননি। তখন দিব্যি খেলে বেড়ায় বুবাই। কী করে নিয়মিত স্কুলে পাঠানো যায় বুবাইদের মতো ছেলেমেয়েদের? শিশু মনস্তাত্ত্বিক মোনালিসা ঘোষের মতে, বোঝা দরকার শিশু স্কুলে যেতে চাইছে না কেন। সত্যিই শরীরে সমস্যা, নাকি স্কুলে। তবে টিনএজে স্কুলে যেতে না চাইলে বিষয়টা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। রইল কিছু টিপস্।
• ডাক্তার দেখিয়ে নিন। যদিও সত্যি কোনও অসুখ হয়ে থাকার সম্ভাবনা কম, তবু শিশু কোনও কষ্টের কথা বললে তা উড়িয়ে না দিয়ে একবার দেখিয়ে নেওয়া ভাল।
• কথা বলুন। শিশুর সঙ্গে গল্প করে বোঝার চেষ্টা করুন, কিছুতে ভয় কিংবা লজ্জা পাচ্ছে কিনা। খুব ছোটরা অবশ্য সব সময়ে সমস্যার কথা বোঝাতে পারে না। তবু গোড়াতেই বকাবকি না করে ধৈর্য ধরে শুনুন।
• বায়না নাকি সত্যি? লক্ষ করুন, বায়নার কোনও নকশা আছে কিনা। শনি-রবিবারও কি পেটব্যথার কথা বলছে? ঘুম থেকে ওঠার পরেই কি ব্যথার কথা বলছে? n স্কুলে কথা বলুন। অনেক সময়ে কোনও শিক্ষকের ভয়ে, শাস্তির ভয়ে স্কুলে যেতে চায় না শিশুরা। অনেক সময়ে অন্য বন্ধুরা নানা ভাবে শিশুটিকে ভয় দেখায় বা অপদস্থ করে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথেও এমন কিছু ঘটতে পারে, যা শিশুকে বিপন্ন করছে। তেমন কোনও কিছু হচ্ছে কিনা, তা বোঝার চেষ্টা করুন। স্কুলে গিয়ে একাধিক শিক্ষক, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন।
• স্কুল নয় মানে ‘ছুটি’ নয়। যদি শিশু সত্যিই অসুস্থ না হয়, তা হলে বাড়িতে থাকলেও পড়াশোনা করতে বলুন। টিভি বন্ধ রাখুন। স্কুলে না গেলে মজা, এমন ধারণা যেন তৈরি না হয়। ঘুমিয়ে, খেলে দিন না কাটে।
• যেতেই হবে। শিশুকে বোঝান, স্কুলে যাতে সে নির্ভয়ে যেতে পারে, তার জন্য আপনি সাহায্য করবেন। কিন্তু বাড়িতে থাকা কখনওই মেনে নেবেন না।
• উপহারের কথা বলতে পারেন। বছর চার-পাঁচেকের শিশুকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে স্কুলে পাঠাতে পারেন। তবে বিষয়টা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়।