বয়সকালে পায়ের পাতার নানা সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। পায়ের পুরু ত্বক তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। সে জন্য সমস্যা হয়।
চিকিৎসক সঞ্জয় ঘোষ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস থাকলে পায়ের জটিলতা বাড়ে। অনেকের পায়ে রক্ত চলাচল বা শিরার কিছু সমস্যা থাকে। এ সব ক্ষেত্রে আলাদা করে পায়ের যত্ন প্রয়োজন। প্রথমত, নরম ও ঢাকা দেওয়া জুতো পরতে হবে। শক্ত জুতোর ঘষা লেগে পায়ে ফোস্কা পড়বে। জুতোর কেমিক্যাল আর আঠা থেকে পায়ে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই পুরোপুরি সুতির হালকা রঙের মোজা পরতে হবে। গাঢ় রঙের মোজা পরবেন না। ফ্ল্যাট ফুট বা বা হাই আর্চে পায়ে কড়া পড়ে। সে ক্ষেত্রে অর্থোপেডিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বিশেষ ধরনের জুতো পরতে হবে। যাতে পায়ের ওপর চাপ কম পড়ে। কড়া কাটলে সেপটিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কড়া কাটবেন না। অনেক সময় পায়ের এক ধরনের আঁচিলকেও কড়া মনে হয়। তাতে ভাইরাস থাকে। সেটি কাটলে ভাইরাস ছড়িয়ে যেতে পারে। দরকারে কড়া শল্য চিকিৎসকই কাটবেন। কড়ায় ইউরিয়া বা স্যালিলাইলিক অ্যাসিড জাতীয় ক্রিম লাগাতে পারেন।
পা ভাল রাখতে
• রোজ ঈষদুষ্ণ গরম জলে নুন ফেলে পাঁচ মিনিট পা ভিজিয়ে শুকনো করে মুছে নেবেন।
• পা জোরে ঘষবেন না। জল-কাদা লাগলেও পা জোরে ঘষবেন না। ইনফেকশন হতে পারে।
• স্ক্রাবার বা কোনও অ্যান্টিসেপটিক লাগাবেন না।
• বাথরুম থেকে বেরোনোর পরও পা শুকনো করে মুছবেন, নইলে আঙুলের মাঝে ছত্রাক বাসা বাধতে পারে।
• ছোটখাট ফাটায় নুপিরোসিন অয়েনমেন্ট বা ফুসিপিক অ্যাসিড লাগাতে পারেন।
• বেশি ফাটলে লাগাবেন প্যারাফিন বা হোয়াইট পেট্রোলিয়াম জেলি।
• মোটা নখ কাটতে অসুবিধে হলে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে কাটতে হবে। স্নানের পর নখ কাটবেন। নখের কোনা কাটলে নখকুনি হতে পারে। পেডিকিয়োর করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যন্ত্রপাতি ঠিক মতো স্টেরিলাইজড কি না।
সাক্ষাৎকার: রুমি গঙ্গোপাধ্যায়