রঞ্জনকে নিতে স্টেশনে গৌতম

ব্রিগেডের সভায় দলের দার্জিলিং জেলার নেতা-কর্মীরা ঠিকঠাক যাচ্ছেন কি না সকাল থেকে তা তদারকি করে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। আর দুপুরে সবার খাওয়া হয়েছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন দলের আর এক নেতা রঞ্জন সরকার, বিকাশ সরকারেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:২২
Share:

সাক্ষাৎ: কলকাতায় গৌতম দেব ও অন্য নেতারা। নিজস্ব চিত্র

ব্রিগেডের সভায় দলের দার্জিলিং জেলার নেতা-কর্মীরা ঠিকঠাক যাচ্ছেন কি না সকাল থেকে তা তদারকি করে যাচ্ছিলেন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি তথা পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। আর দুপুরে সবার খাওয়া হয়েছে কি না সেটা দেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন দলের আর এক নেতা রঞ্জন সরকার, বিকাশ সরকারেরা।

Advertisement

সভায় পৌঁছনো, বসার জায়গার ব্যবস্থা করা সবই করেছেন রঞ্জন-বিকাশরা। এ দিন সভা শেষ হতেই বিকেলের বিমানে গৌতম ফিরে আসেন। তাঁর গন্তব্য, শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম। কারণ, রাত পোহালে সোমবার ওই স্টেডিয়ামে উত্তরবঙ্গ উৎসব উদ্বোধন করতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এ দিন ব্রিগেডে সভার পরে গৌতম বলেন, ‘‘নির্বিঘ্নে সব হয়েছে। আমাদের দার্জিলিং জেলার সকলে নিরাপদে পৌঁছেছেন ও ফিরছেন। যে হেতু মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের জন্য শিলিগড়িতে থাকতে হবে। তাই ফেরার সময়কার দায়িত্ব দলের নেতাদের ভাগ করে দিয়েছি।’’

Advertisement

সভার দু’দিন আগেই কলকাতা পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূলের গৌতম। ১৭ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি লাগাতার শিলিগুড়ির নেতা-কর্মীদের স্রোত আছড়ে পড়েছে কলকাতায়। প্রদেশ কমিটি থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু, জেলার নেতা-কর্মীরা ঠিকঠাক আছেন কি না তা দেখতে সকাল-সন্ধ্যা থাকতে হয়েছে গৌতমকে। তবে এ বার গোড়া থেকেই আয়োজনের নানা দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছিলেন তিনি।

সেই মতো শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার, দলের জেলা যুব সভাপতি বিকাশ সরকাররা শুক্রবার সকাল পর্য়ন্ত দলে-দলে সতীর্থদের রওনা করিয়েছেন। সে দিন তাঁরা নিজেরাও হলদিবাড়ি-কলকাতা সুপারফাস্টে চড়ে সদলবলে কলকাতা পৌঁছেছেন। রাতে কলকাতা স্টেশনে তাঁদের অভ্যর্থনা জানাতে হাজির ছিলেন খোদ মন্ত্রী গৌতম দেব। রঞ্জন বলেন, ‘‘কলকাতায় আয়োজন ছিল ত্রুটিহীন। থাকার ব্যবস্থা ছিল ভাল। খাবার ছিল পর্যাপ্ত। পানীয় জল, শৌচাগারের কোনও সমস্যাই হয়নি। সব মিলিয়ে সুশৃঙ্খল ছিল সব কিছু।’’

দলের দার্জিলিং জেলার যুব সভাপতি বিকাশ জানান, তাঁরা দলের পক্ষ থেকে যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন তা পালনের চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেটা পালন করেছি। কিন্তু, মাথার উপরে ছাতার মতো ছিলেন জেলা সভাপতি। তিনি রাত-বিরেতে বারবার খোঁজ নিয়েছেন। পরামর্শ দিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন