বিক্ষোভ: রবিবার সার্কিট বেঞ্চের দাবিতে তৃণমূলের ধর্না। নিজস্ব চিত্র
সার্কিট বেঞ্চ চালুর দাবিতে রাজ্যের সব আদালতে আন্দোলন শুরুর ডাক দিল তৃণমূল। রবিবার জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চের দাবিতে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়ে এই আহ্বান জানান পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর প্রসাদ বৈশ্য।
ভাস্করবাবু বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার সব পরিকাঠামো গড়ে দিলেও আজও কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানার কারণেই জলপাইগুড়িতে সার্কিট বেঞ্চ চালু করা যাচ্ছে না। দ্রুত বেঞ্চ চালু করার দাবিতে রাজ্যের সব আদালতে আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।’’ ধর্না মঞ্চ থেকেই এ দিন তৃণমূল কংগ্রেস লিগ্যাল সেলের জলপাইগুড়ির সভাপতি পদে গৌতম দাসকে নির্বাচিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ৬ জানুয়ারি রাজ্য সেলের বৈঠক থেকেই জলপাইগুড়ির কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান গৌতম দাস।
এ দিন ধর্না মঞ্চে ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘এরপর থেকে আমরা যেখানেই বিজেপি নেতাদের পাব সেখানেই প্রকাশ্যে তাঁদের সরাসরি আক্রমণ করা হবে। কেন সার্কিট বেঞ্চ চালু করা হচ্ছে না, সেই জবাব বিজেপিকেই দিতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ধর্না আন্দোলন সম্পর্কে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধরনার অনুমতি প্রশাসনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।’’ ২৭ জানুয়ারি থেকে শহরের স্টেশন রোডের অস্থায়ী সার্কিট বেঞ্চের সামনে মঞ্চ করে তৃণমূলের তরফে লাগাতার ধর্না চলছে।
এ দিন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের সংস্কৃতি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। আইন, সংবিধান কিছুই মানেন না তারা। সার্কিট বেঞ্চ ইস্যুতে তৃণমূল নাটক করছে। সংবিধানের প্রতি মান্যতা দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকার জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চ চালু করার বিষয়ে সঠিক সময়ে সব ঘোষণা করবে।’’
এ দিন ধর্না মঞ্চে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস লিগ্যাল সেলের চেয়ারম্যান অরুণ সরকার, আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে তুষার চক্রবর্তী, সঞ্জয় ঘোষ, জলপাইগুড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সোমনাথ পাল, তপন ভট্টাচার্য, শান্তা চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।