কান্দিও তৃণমূলে, অশোকের কাছে খোঁজ রাজ্যপালের

মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের হাতে থাকা শেষ পুরসভাটিও দখলে নিল তৃণমূল। যার জেরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলায় ৭টির মধ্যে ৭টি পুরসভাই শাসক দলের দখলে চলে এল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:২৩
Share:

মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের হাতে থাকা শেষ পুরসভাটিও দখলে নিল তৃণমূল। যার জেরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলায় ৭টির মধ্যে ৭টি পুরসভাই শাসক দলের দখলে চলে এল। কান্দি পুরসভার ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর যে দিন জোড়া ফুলের পতাকা হাতে নিলেন, সে দিনই আবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের অভিযোগ জানালেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ও শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস কুমার সরকার।

Advertisement

সরকারি প্রকল্পের ন্যায্য পাওনা আটকে রেখে বিরোধীদের হাতে থাকা নির্বাচিত সংস্থাগুলি আসলে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে শনিবার রাজভবনে অভিযোগ করেছেন অশোকবাবুর নেতৃত্বে শিলিগুড়ির বাম কাউন্সিলরেরা। বাম সূত্রের দাবি, রাজ্যপাল অশোকবাবুদের বলেন, প্রতি দিনই তিনি কাগজে দেখছেন কোনও না কোনও পুরসভা দখল হয়ে যাচ্ছে! রাজ্যে কি এমন দলত্যাগ আটকানোর বা আর্থিক পাওনা নিশ্চিত করার কোনও আইন নেই? অশোকবাবু রাজ্যপালকে জানিয়েছেন, রাজ্যের পুর ও পঞ্চায়েত আইনে কী আছে, তিনি নিজেই দেখে নিতে পারেন। ওই আইনের প্রতিলিপি তিনি রাজভবনে পাঠিয়ে দেবেন।

পরে অশোকবাবু বলেন, ‘‘শিলিগুড়ির মানুষ পুরবোর্ডকে নির্বাচিত করেছেন। পুরসভার টাকা আটকে দিয়ে মানুষের সঙ্গেই

Advertisement

বঞ্চনা করা হচ্ছে। এটা অসাংবিধানিক, বেআইনি ও অগণতান্ত্রিক কাজ।

এই প্রবণতা বন্ধ করতে রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছি।’’ শিলিগুড়িতে যে ভাবে মেয়রকে হেনস্থা করছেন শাসক দলের লোকজন এবং পুলিশ দেখেও নিষ্ক্রিয় থাকছে, তার প্রতিবাদে ৪ অক্টোবর শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনারের দফতর অভিযান করবে বামেরা।

তৃণমূল ভবনে এ দিন শাসক দলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই কান্দির ৬ কংগ্রেস কাউন্সিলর দল বদলেছেন। কান্দিতে ১৮ সদস্যের পুরবোর্ডে তৃণমূলের মাত্র তিন জন কাউন্সিলর ছিলেন। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে হল ১৫। অভিষেক এ দিন বলেছেন, ‘‘এখন অধীর চৌধুরীর মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে দূরবীন দিয়ে দেখতে হবে!’’ ওই পুরসভার আইনি জটিলতা কাটাতে হাইকোর্টে আবেদনও করবে তৃণমূল। অধীরবাবু আবার বর্ধমানে দলের কর্মিসভায় গিয়ে বলেছেন, ‘‘টাকা-ক্ষমতার লোভে কিছু নেতা গিয়েছেন। আসলে গরু পুষেছিলাম, তারা বেড়া ভেঙে পালিয়েছে! তাদের জন্য আমি লজ্জিত। এ বার বেড়া শক্ত করতে হবে!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement