Mamata Banerjee on SIR

‘বিজেপির ইচ্ছামতো নাম বাদ দিচ্ছে’! কমিশনকে তির মমতার, এআই দিয়েও ভোটার তালিকায় কারচুপি হতে পারে বলে আশঙ্কা

ভোটারদের নামের বানানে সামান্য এদিক ওদিক দেখলেও তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন মমতা। নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিজেপির এজেন্ট রেখে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:৫৫
Share:

তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে দলীয় বিএলএ-দের উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। — ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে ভোটারদের খসড়া তালিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে একের পর এক আক্রমণ শানালেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের অফিস থেকে বিজেপির এজেন্ট ইচ্ছামতো নাম বাদ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন তিনি। একইসঙ্গে কৃত্রিম মেধা (এআই) ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর।

Advertisement

রাজ্যে ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশের পরে এসআইআর-এর দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হয়েছে। শুনানির জন্য ভোটারদের নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কমিশন। এ অবস্থায় সোমবার কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোরে দলের বুথস্তরের এজেন্ট (বিএলএ)-দের নিয়ে সভা করলেন মমতা। সেখান থেকেই বিজেপির সঙ্গে কমিশনের আঁতাতের তত্ত্ব ফের উস্কে দিলেন তিনি।

তৃণমূলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বিজেপির অফিস থেকে যা বলে দেওয়া হচ্ছে, তা-ই চেঞ্জ করা হচ্ছে। আমি শুনেছি নির্বাচন কমিশনের অফিসে বিজেপি একটা এজেন্ট রেখে দিয়েছে। সে অনলাইনে যাঁর ইচ্ছে নাম বাতিল লিখছে। পুরো লিস্টটা করে দিচ্ছে বিজেপির পার্টির লোকেরা। এমন নির্লজ্জ কমিশন আমি জীবনে দেখিনি, দেখতেও চাই না।” প্রায় এক ঘণ্টার বক্তৃতায় আদ্যন্ত তৃণমূলনেত্রীর নিশানায় ছিল কমিশন এবং বিজেপির সঙ্গে তাদের আঁতাতের অভিযোগ।

Advertisement

এ বছর রাজ্যে এসআইআর-এর কাজের জন্য কৃত্রিম মেধা-র সাহায্য নিচ্ছে কমিশন। কিন্তু সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভোটার তালিকায় কারচুপি হতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে তৃণমূলনেত্রীর। দলীয় বিএলএ-দের কী করণীয়, সে বিষয়ে দিক্‌নির্দেশ দেওয়ার সময়ে মমতা বলেন, “এখন আবার এআই (ব্যবহার) করেছে শুনলাম। ধরুন আমার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি যখন ভোট দিতে গেলাম, দেখলাম এআই-এ আর একটা নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে রেখে দিয়েছে। অর্থাৎ আমি ভোটটা দিতে পারলাম না। তাঁর নামে ভোটটা চলে গেল। বুদ্ধি খরচ করুন।”

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ তাড়াহুড়োর মধ্যে করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ আগেও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দলীয় সভা হোক, বা প্রশাসনিক কর্মসূচি, সাম্প্রতিক অতীতে বিভিন্ন সময়ে এই অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে ফের এক বার সেই অভিযোগ তুললেন তিনি। মমতার বক্তব্য, শুধুমাত্র বিজেপির কথায় অপরিকল্পিত ভাবে এই এসআইআর করা হচ্ছে। বিজেপি এবং কমিশনকে একই বন্ধনীতে ফেলে মমতার আক্রমণ, “তোমরা চক্রান্ত করেও কিচ্ছু করতে পারবে না।”

সম্প্রতি রাজ্যের যে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে ইতিমধ্যেই বহু ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, “আরও দেড় কোটি নাম নাকি বাদ দিতে হবে। বিজেপির খোকাবাবুদের আবদার।” বিভিন্ন ধরনের চালাকি করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “চালাকির দ্বারা মহৎ কাজ হয় না।”

ভোটারদের নামের বানানে সামান্য এদিক ওদিক দেখলেও তাঁর নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার। তৃণমূলনেত্রী জানান, আগে কলকাতায় ১০০টি ওয়ার্ড ছিল। পরে ওয়ার্ডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১৪৪টি। এর মধ্যে আসন পুনর্বিন্যাসও হয়েছে। ফলে ২০০২ সালে কোনও ভোটারের যে ঠিকানা ছিল, এখন সেই ঠিকানা বদলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এই বিষয়গুলি বিবেচনা না করেই ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “বিএলও-দের নামে গালাগালি দেওয়ার আগে ট্রেনিং দিয়েছিলেন? পুরোটাই অপরিকল্পিত। বিজেপির কথায় বিজেপি কমিশন করেছেন। যত কেস করবেন, করবেন। চাইলে গলাটাও কেটে নিতে পারেন। কিন্তু আমি মানুষের কথা বলব। কাউকে না কাউকে তো মুখ খুলতে হবে। সবাই যদি ভয়ে গুটিয়ে যায়, তা হলে তো দেশটাই শেষ হয়ে যাবে। বাংলা না থাকলে, দেশটা থাকবে না। মাথায় রাখবেন।”

শুধু আসন পুনর্বিন্যাস ঘিরেই সমস্যা নয়। আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে বলে অভিযোগ মমতার। বাংলা এবং ইংরেজিতে ভাষাগত পার্থক্যের কারণে নামের বানানও অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হয়। শুধুমাত্র নামের বানান আলাদা হওয়ার কারণে অনেকের নাম বাদ পড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বিয়ের পরে মহিলাদের অনেকে পদবি বদল করার ফলেও তাঁদের নাম বাদ পড়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগও তোলেন মমতা। তাঁর আরও অভিযোগ, এই ধরনের বানান বিভ্রান্তির জন্য এক জনকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে।

কমিশনকে আক্রমণ শানিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, “এর দায় কার! নির্বাচন কমিশন ৪৬ জন লোকের প্রাণ নিয়েছ। বিএলও-দের দোষ নয়, দোষ তোমাদের। দায়িত্ব নিতে হবে। ডিলিমিটেশনে ঠিকানা বদলেছে, (তার জন্য নাম) বাতিল। বিয়ে হয়ে অন্য বাড়িতে গিয়েছে, তাতেও বাতিল। বাংলা ও ইংরেজিতে নামের বানানে ফারাক রয়েছে, তা-ও বাতিল। এই অধিকার কে দিল?”

নির্বাচন কমিশনকে বিজেপির ‘ক্রীতদাস’ বলেও আক্রমণ শানান মমতা। তাঁর অভিযোগ, কমিশনের কাজে সর্বক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিএলও অ্যাপে নির্দেশিকায় ঘন ঘন পরিবর্তনের ফলে সামগ্রিক ভাবে কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। ২২-২৪ বার কমিশন নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকা পরিবর্তন করছে বলে অভিযোগ মমতার। তৃণমূলনেত্রী বলেন, “২০০২ সালকে ভিত্তি করে নাম, অংশ নম্বর, ক্রমিক সংখ্যা খোঁজার ক্ষেত্রে কোনও অ্যাপ নেই। ফলে বহু বৈধ ভোটারকে হয়রান হতে হচ্ছে। ক’টা লোক এপিক নম্বর খুঁজে বার করতে পারে! অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ২০০২ সালের এপিক নম্বরের সঙ্গে বর্তমান এপিক নম্বরের কোনও সামঞ্জস্য নেই। এটা কি ক্রিমিনাল অফেন্স নয়! অপরিকল্পিত, বেআইনি, অসংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক।”

নির্বাচন কমিশনের কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের কোন কর্মীরা নিযুক্ত রয়েছেন, সে বিষয়েও দলীয় সভা থেকে তথ্যতলব করেন মমতা। তাঁর কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকারের অনেককে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রত্যেক এলাকায় খবর রাখুন তো, কাকে কাকে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁরা কোন দফতরে কাজ করেন, কোথায় থাকেন। আমরা ডিটেলস চাই। আমি তাঁদের সহযোগিতা করব, কিন্তু আমার ডিটেলস চাই। এটা রাজ্যকে জিজ্ঞেস করে করেনি। নির্বাচন কমিশন ইচ্ছা করে করছে।”

এসআইআর-এর কাজ নিয়ে রাজ্যে এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার জন্য সিপিএমকেও নিশানা করেন মমতা। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে সর্বশেষ এসআইআর-এর সময়ে বাম সরকার অনেক ভোটারের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিল। মমতা বলেন, “২০০২ সালে সিপিএম ছিল। মার্কামারা দল। একেবারে অনেকের নাম তখন বাদ দিয়ে দিয়েছিল। নবপ্রজন্ম থেকে শুরু করে যাঁরা তৃণমূল করত, বেশির ভাগের নাম বাদ দিয়ে দিয়েছিল। আজ বুঝবে, কী ভুলটাই না করেছিল। মানুষ ক্ষমা করেনি, করবেও না। এখন আবার বিজেপির দালালি করছে।”

নিশানায় সিইও দফতর

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর দফতর বদল নিয়েও এ দিন মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অনুমতি না নিয়েই অফিসের স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়া বেআইনি বলে দাবি করেন তিনি। সেই প্রসঙ্গেই নাম না করে মমতা বলেন, “এখানে যেটা বসে আছে, সেটা তো বাড়ি থেকে টাকা ফেলেছিল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে স্টোরি বেরিয়েছিল। সিবিআই হানা দিয়েছিল। তখন সে দিল্লিতে কোনও দায়িত্বে ছিল বলে শুনেছি আমি। উপর থেকে টাকা ফেলে দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে কম কেস আমার কাছেও নেই। তিনি ভয়ে অফিস শিফ্‌ট করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসে যাবেন। রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়াই। সব বেআইনি।” তবে এ ক্ষেত্রে কার কথা তিনি বলতে চেয়েছেন, তা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করেননি মুখ্যমন্ত্রী।

দলীয় বিএলএ-দের দিক্‌নির্দেশ

এসআইআর-এর দ্বিতীয় পর্যায়ে দলীয় বিএলএ-দের কী করণীয়, তা নিয়েও নেতাজি ইন্ডোর থেকে স্পষ্ট দিক্‌নির্দেশ দেন মমতা। তৃণমূলনেত্রী জানান, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মৃত, স্থানান্তরিত, অনুপস্থিত ভোটারদের তালিকা অনুসারে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। তালিকা থেকে বাদ গিয়েছেন এমন ভোটার বাস্তবে রয়েছেন কি না, তা জানতে হবে। যদি এমন ভোটার খুঁজে পাওয়া যায়, তবে ওই ভোটারদের ফর্ম ৬ এবং অ্যানেক্সচার ৪ পূরণ করিয়ে ইআরও-র কাছে জমা দিতে হবে নাম নথিভুক্ত করার জন্য।

যে ভোটারদের বিএলও ‘আনম্যাপড’ বলে চিহ্নিত করেছেন, তাঁদের সকলে নোটিস পেয়েছেন কি না, দেখতে হবে। এই ভোটারদের আগে থেকে ২০০২ সালের তালিকার কপি এবং কমিশনের নির্ধারিত ১১টি প্রমাণপত্রের যে কোনও একটি সংগ্রহ করে রাখতে বলতে হবে। শুনানির সময়ে যাতে এই সকল ভোটারের উপস্থিত থাকেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। যাঁদের কাছে ১১টি প্রমাণপত্রের কোনওটি নেই, তাঁরা যাতে স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র, তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং ওবিসি সার্টিফিকেটের জন্য (যেটি যে ক্ষেত্রে প্রযোজ্য) দ্রুত আবেদন করেন, তা নিশ্চিত করতে হবে বিএলএ-দের।

বিএলও অ্যাপে যে ভোটারদের তথ্য ‘লজিক্যাল ডিসক্রিপেন্সি’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে করা হয়েছে এবং যে ভোটারেরা নোটিস পেয়েছেন, তাঁরা প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে শুনানিতে থাকছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে বিএলএ-দের। শুনানির সময়ে ভোটারেরা যাতে অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, তা দেখতে হবে। বুথে বুথে ক্যাম্প তৈরি করতে হবে। বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে এই কাজ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে মন্তব্যের সময়ে দলের কাউন্সিলরদের একাংশকেও সতর্ক করে দেন মমতা। তিনি বলেন, “অনেক কাউন্সিলর কাজ করেন না। শুধু পার্টির বদনাম করেন। আমি তাঁদের পরিবর্তে দরকার হলে আলাদা করে ব্লক প্রেসিডেন্ট তৈরি করে দেব। যে ভাল কাজ করবেন, তাঁকে আমি ব্লক প্রেসিডেন্ট করব।”

পাশাপাশি যে ভোটারেরা ফর্ম ৬ বা ফর্ম ৮ জমা দিচ্ছেন, তাঁরা যাতে সকলে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন, সে ক্ষেত্রেও বিএলএ-দের তরফে সাহায্য করতে হবে বলে জানান মমতা। তবে এ ক্ষেত্রে তৃণমূলনেত্রী জানান, ২০ বছর বা তার বেশি বয়সিরা ফর্ম ৬ জমা দিলে, অনুসন্ধান করে দেখতে হবে তিনি সঠিক কি না। যে সকল ভোটার ফর্ম ৮-এর মাধ্যমে নাম তুলতে চাইছেন, তাঁরা কোথা থেকে আসছেন, সে বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে বলে দলীয় বিএলও-দের জানান মমতা।

সভায় মাইক বিভ্রাট

মমতার সভা চলাকালীন হঠাৎই মাইক বিভ্রাট হয় নেতাজি ইন্ডোরে। তার জন্য স্বল্প সময়ের জন্য বিঘ্নিত হয় বক্তৃতা। তা নিয়ে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ আনেন তিনি। মমতা বলেন, “ইন্ডোরে যে মাইকম্যানেরা কাজ করছেন, আমি কিন্তু বার বার দেখছি আপনারা প্রবলেম তৈরি করছেন। আমি আগের দিনও দেখে গিয়েছি। আজও দেখছি। এটি খুব খারাপ। এ বার কিন্তু আমি পদক্ষেপ করব বলে দিলাম। আমি আগের দিনও শিল্প বৈঠকে দেখে গিয়েছি, এই অভিযোগ এসেছে। টাকা নিয়ে আপনারা কাজ করেন। এটা আপনাদের প্রাপ্য। কিন্তু আপনি তো পরিষেবা দেবেন! আর পুলিশ কী করে! যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, কেন দেখেন না! দলেরও যাঁরা থাকেন, তাঁরাই বা কেন সাউন্ড চেক করবেন না? এটা অন্তর্ঘাত হচ্ছে না তো! প্রতিদিন এই মাইকে এই সমস্যা কেন হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement