TMC

খেজুরিতে ‘জয় শ্রীরাম’ সামলে নন্দীগ্রামে রাত্রিবাস, প্রথম ‘দিদির দূত’ হলেন কুণাল

শুক্রবার বিকেলে খেজুরিতে কুণালকে দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান ওঠে। সে সব সামলে সন্ধ্যাতেই তিনি যান নন্দীগ্রামে। সেখানে দলীয় অফিসেই থাকা-খাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২২:৪১
Share:

নন্দীগ্রামে রাত্রিবাস কুণালের। — নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে তৃণমূল। সোমবার থেকে সেই কর্মসূচির শুরু। নেতাদের বাড়ি ছেড়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে রাত্রিবাস এবং জনসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁদের খাওয়াদাওয়া দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গেই করার কথা। সোমবার সেই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক সূচনা। তবে তার আগেই শুক্রবার সেই কর্মসূচি শুরু করে দিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। দিনভর জনসংযোগ কর্মসূচির শেষে তিনি রাত কাটাচ্ছেন নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের পার্টি অফিসে। এই কর্মসূচিতে যাঁরা অংশ নেবেন তাঁদের ‘দিদির দূত’ বলা হবে বলে তৃণমূল ঘোষণা করেছে। সেই হিসাবে কুণালই হলেন প্রথম ‘দিদির দূত’।

Advertisement

শনিবার সকালে নন্দীগ্রামে কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি ৩ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছিল নন্দীগ্রামে। সেই দিন ভোরে শহিদ বেদীতে মাল্যদান করতে যাবেন কুণাল-সহ স্থানীয় নেতারা। কুণাল বলেন, ‘‘সারা রাত দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে খাওয়া থাকা। এর পরে ভোর পৌনে চারটেয় শহিদ বেদীতে মাল্যদান। এর পরে পরিক্রমা। পরে হলদিয়ায় অন্য একটি কর্মসূচিতে চলে যাব।’’ শুক্রবার নন্দীগ্রামে পৌঁছেও সন্ধ্যায় বিভিন্ন জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন কুণাল। চায়ের দোকান থেকে টিউটোরিয়ালে চলে আড্ডা। শেষে রাতে রুটি, আলুরদম আর নতুন গুড়ের মিষ্টি দিয়ে হয় নৈশভোজ।

তবে নন্দীগ্রামের তুলনায় শুক্রবার খেজুরিতে কুণালের জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল বেশি ঘটনাবহুল। একটি খেলার মাঠে গিয়েছিলেন কুণাল। সেখানে ভিড়ের মধ্য থেকে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি ওঠে। কুণাল অবশ্য রাগ প্রকাশ না করে যাঁরা ধ্বনি দিয়েছেন তাঁদের ডেকে হাত মেলান। পরে তিনি বলেন, ”গোটা মাঠে জয় বাংলা স্লোগান চলছিল। এক জনই তার মধ্যে একটু অন্য স্লোগান দিলেন। আমি বললাম, সামনে এসেই বলুন। তার পর তাঁর সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালাম। আমার বক্তব্য হচ্ছে, যে, যে স্লোগানই বলুন, আপনারা সকলে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী এ সব কার্ড করে নেবেন। তা হলে আপনাদেরই সুবিধা হবে। আর যে স্লোগানেই ভরসা রাখুন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নতুন বছরে ভাল থাকবেন। এটাই আমাদের শুভেচ্ছা।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন