গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
সিপিএম ভোটবাক্সে ‘প্রান্তিক শক্তি’তে পরিণত হলেও যে কোনও ঘটনাতেই তিনি টানেন সিপিএম জমানার কথা। আবার সমাজমাধ্যমে তাঁর যে কোনও পোস্টে সংগঠিত ভাবে হানা দেয় সিপিএমের ‘বাহিনী’। কিন্তু সেই তিনিই, অর্থাৎ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সিপিএমের এক তরুণীর নৃত্য পরিবেশন দেখে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন।
পুজোয় সিপিএম সরাসরি যুক্ত না-থাকলেও প্রতি বছর তারা মণ্ডপের অদূরে ‘প্রগতিশীল’ সাহিত্যের বিপণনী নিয়ে হাজির থাকে। উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়ায় তেমনই একটি বই বিপণনীর সামনে ‘রানার ছুটেছে’ গানের সঙ্গে রাস্তাতেই নৃত্য পরিবেশন করছিলেন এক তরুণী। তিনিও দলের সঙ্গেই যুক্ত। সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে কুণাল লিখেছেন, ‘সিপিএমের সঙ্গে বিরোধ থাকবেই। কিন্তু মেয়েটির পারফরম্যান্স খুব ভাল লাগল। যে কোনও দল যখন কঠিন সময়ে থাকে, তখন মেদ ঝরা উপস্থিতির এই তারুণ্যের ঝলক স্বাস্থ্যকর।’
সেই পোস্টে রাজনীতির সমীকরণের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কুণাল। লিখেছেন, সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে বিজেপি-বিরোধী ভোট নষ্ট করা। একটি ভোটও দেবেন না ওদের। কিন্তু নতুনেরা এই ধরনের পারফর্ম করলে ভাল লাগে।’ তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল এ-ও লিখেছেন, ‘আমার দলের নতুন প্রজন্মেও অনেকে আছেন। তবু এই ধরনের ডেডিকেশন (তিতিক্ষা) আরও বাড়ানো দরকার।’
পশ্চিমবঙ্গে গত দেড় দশক সিপিএম ক্ষমতায় নেই। বিধানসভা, লোকসভায় আসনসংখ্যা শূন্য। দলীয় সদস্যপদ আগের থেকে কমলেও এই সময়ের মধ্যে অনেক তরুণ-তরুণী দলে অন্তর্ভুক্তও হয়েছেন। যদিও মূল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কুণাল ইতিবাচক দিকটির কথাই উল্লেখ করেছেন। অনেকের মতে, ইঙ্গিতে কুণাল পাঠ দিতে চেয়েছেন তৃণমূলের তরুণদেরও। যাঁরা বেশির ভাগই দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ক্ষমতায় থাকার সময়ে। যাঁরা দলের দুঃসময় দেখেননি।